• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১, ১১:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১২, ২০২১, ১২:৫১ পিএম

জরায়ু ক্যান্সারে যা খেয়াল রাখবেন

জরায়ু ক্যান্সারে যা খেয়াল রাখবেন

নারীর দেহের এক আতঙ্কের নাম জরায়ু ক্যান্সার। নীরবে বাসা বাধে এ রোগটি। নিঃশব্দে কেড়ে নিতে পারে একটি জীবন। 
বিবিসির মতে, ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার বা আইএআরসি'র তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর নতুন করে ৮ হাজার ২৬৮ জন নারীর শরীরে শনাক্ত হচ্ছে জরায়ু ক্যান্সার। আর বছরে ৪ হাজার ৯৭১ জন নারীর মৃত্যু হচ্ছে এ রোগে। 
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসকে (এইচপিভি) জরায়ু মুখে ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১০০টিরও বেশি প্রজাতির এইচপিভি আছে। জরায়ুর ক্যান্সার ১৫-৪৫ বছর বয়সের নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। কিন্তু ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশের প্রায় ২ থেকে ২০ বছর আগেই একজন নারী এ রোগের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন।
চলুন জেনে নেই কি কি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনি জরায়ু ক্যান্সারে ভুগছেন।
লক্ষণসমূহ: 
১. আচমকা ক্ষুধা কমে যাওয়া।
২. বমি বমি ভাব কিংবা বার বার বমি হওয়া।
৩. পেটে অতিরিক্ত ব্যথা কিংবা পেট ফুলে থাকা।
৪. পেটের কোন সমস্যা জটিল হলে যেমন গ্যাস, বদহজম, কোষ্টকাঠিন্য এর ব্যাথা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে। 
৫. যৌনাঙ্গের চারপাশে চাপ চাপ বোধ হওয়া এবং ঘন ঘন মূত্রত্যাগ করা।
৬. অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া বা হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া।
৭. যৌনমিলনের সময় ব্যথা অনুভূত হওয়া।
৮. অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করা।
৯. নারীদের মেনোপজ হয়ে যাওয়ার পরেও রক্তক্ষরণ হওয়া।

প্রতিরোধের উপায়: 
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য এখন টিকা বাংলাদেশে পাওয়া যায়। মেয়েদের বয়স যখন ১০ থেকে ১২ বছর তখন তিনটি ডোজে ছয় মাসের মধ্যে এই টিকা দেওয়া হয়। এই টিকা বিয়ের পূর্বে বা যেীন মিলনের পূর্বে প্রদান করা উচিত। এছাড়াও নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

১. অবিবাহিত মহিলারা যেন এ টিকা গ্রহন করে তা নিশ্চিত করা। 
২. উপরিউক্ত কোন লক্ষণ চোখে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া। 
৩. জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
৪. নারীদের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পুরুষরা অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারে।
৫. ১৮ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত নারীদের বছরে একবার করে পরীক্ষা করা উচতি। তবে পর পর দুইবার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে ৩ অথবা ৫ বছর পরপর পুনরায় পরীক্ষা করাবেন। ঝুঁকিপূর্ণ নারীরা ৩ বছর পর পর পরীক্ষা করাবেন।