হঠাৎ পেটে তীব্র ব্যথা, কোনো কিছুতেই কমছে না। অ্যাসিডিটির ওষুধ খাচ্ছেন, পেট ভরে পানি খাচ্ছেন। তবুও কাজ হচ্ছে না। সহ্য করতে না পেরে ছুটে যাচ্ছেন ডাক্তারের কাছে। এরপর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ধরা পড়লো আপনার গলব্লাডারে স্টোন।
গলব্লাডার বা পিত্তথলি, যা আমাদের লিভারের পাশেই থাকে। পিত্তথলি থেকে নিঃসৃত পিত্তরস খাবার হজম করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে, বিলিরুবিনের আধিক্য দেখা দিলে বা পিত্তরস জমে গিয়ে পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে। যারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন_
- এই রোগটি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদেরই বেশি হয়।
- বিশেষ করে ৪০ বছরের উপরে বেশি বয়সী যারা আছেন তাদের এই রোগটি হতে পারে।
- আবার শরীরের অতিরিক্ত ওজন, বিশেষ করে যাদের কোমরের চারপাশে অতিরিক্ত মেদ রয়েছে তাদের এই রোগটি বেশি হয়।
- দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টায় দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকলে এই রোগ হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় এই রোগ হতে পারে।
- ডায়াবেটিস থাকলে হতে পারে।
- বংশসূত্রে হতে পারে।
- উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইডের (রক্তে এক ধরণের ফ্যাট) কারণে হতে পারে।
- শারীরিক পরিশ্রম কম হলে এ রোগ হতে পারে।
- এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরলের অভাবে এই রোগ হতে পারে।
গলব্লাডার স্টোন বা পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি নিজেই পার্থক্য করতে পারবেন কোনটা অ্যাসিডিটির ব্যথা আর কোন ব্যথা গলব্লাডারে স্টোনের কারণে হচ্ছে। গলব্লাডার স্টোন বা পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে জানাবো আজকের আয়োজনে।
- সাধারণত পেটের ওপরের অংশে ডান দিকে ব্যথা হবে। ব্যথার তীব্রতা থাকবে। ওই ব্যথা ডান কাঁধের দিকে ছড়িয়ে পড়বে।
- মধ্য পেটেও ব্যথা হয়ে থাকে। এক সময় এই ব্যথা একেবারে পেছন দিকে চলে যায়।
- ব্যথার সঙ্গে জ্বর হবে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে।
- জ্বরের সঙ্গে বমি বমি ভাব হবে। কখনো কখনো কয়েকবার বমিও হতে পারে।
- খাবারে অনীহা হবে। চর্বিজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার বা মাংস খেলেই পেটে ব্যথা হবে।
- খাবার হজমেও সমস্যা হবে।
- জ্বরের সঙ্গে জন্ডিসের লক্ষণও প্রকাশ পেতে পারে।
এসব লক্ষণ হলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন। এই উপসর্গগুলোকে একেবারেই অবহেলা করবেন না। সামান্য ব্যথার সমস্যাতে ইচ্ছে মতো গ্যাসের ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।