• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২১, ০৪:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৮, ২০২১, ১২:৫০ পিএম

সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়

সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়

আজ ৭ এপ্রিল বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২১ বা ওয়ার্ল্ড হেল্থ ডে। প্রতিবছর এই দিনে সারা বিশ্বে একযোগে পালিত হয় দিনটি। স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও সবার সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতেই পালিত হয় এই দিনটি। ‘বিল্ডিং আ ফেয়ারার, হেলদিয়ার ওয়ার্ল্ড’ বা ‘একটি সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়’-কে প্রতিবাদ্য রেখে দিবসটি এ বছর পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বে।

স্বাস্থ্য ও নানা সমস্যা সম্পর্কে ব্যক্তিকে সচেতন করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) নেতৃত্বে সারা বিশ্বে এই দিনটি পালিত হয় প্রতিবছর। অন্য বছরগুলোতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিবসটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পালিত হয়। রাজধানীসহ সারা দেশে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও জনসচেতনতা গড়ে তুলতে প্রচারপত্র বিলি করে। কিন্তু এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে নেই তেমন কোনো আয়োজন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২১ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর আয়োজনে সকাল ১১টায় জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে অনুষ্ঠিত এই মিটিংয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

১৯৪৮ সালে এই দিনে প্রতিষ্ঠিত হয় ডাব্লিউএইচও। তবে ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে। বিশ্বের স্বাস্থ্য সমস্যায় নানা পদক্ষেপ ও সচেতনতা বাড়ানোই এই সংস্থার মুখ্য উদ্দেশ্য। সচেতনতা প্রসারের মাধ্যমেই নানান রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য সমস্যা কোনো নির্দিষ্ট বছরকে প্রভাবিত করে। সেই বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই স্বাস্থ্য দিবসের থিম নির্ধারণ করা হয়। তাই এ বছরের থিমও করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করেই নির্ধারিত হয়েছে। সারা বিশ্বের নাগরিকরা যাতে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পর্কে সচেতন হয়, তা নিশ্চিত করাই এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে দিবসটি উপলক্ষে বলা হয়, সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম সমান গুরুত্ব দিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বিশ্বনেতাদের এখন সময় এসেছে অতীতকে নিয়ে ভাবার এবং একত্রে কাজ করার। “করোনামুক্ত বিশ্ব, অসমতাবিহীন মানবিক সমাজ আমরা গড়ব” এই হোক বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।