• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২১, ০৪:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৪, ২০২১, ০৩:৩৪ পিএম

ডায়াবেটিস রোগীদের রোজায় যা মানতে হবে

ডায়াবেটিস রোগীদের রোজায় যা মানতে হবে

বাংলাদেশে এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৭০ লাখের বেশি। প্রতিটি ঘরেই হয়তো একজন করে ডায়াবেটিস রোগী পাওয়া যাবে। রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ডায়াবেটিসের রোগীরাও রোজা পালন করবেন। কিন্তু কীভাবে তারা রোজা রাখবেন, রোজা রাখায় তাদের স্বাস্থ্যে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, এই নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকে। রোজা রাখা যেমন জরুরি, তেমনি ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখাও জরুরি।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়মের ছকে চলতে হয়। নিয়ম করে খাওয়া, নিয়ম করে ওষুধ সেবন করা, নিয়ম করে হাঁটা- সব দিকই খেয়াল  রাখতে হয়। রমজানে সারা দিন পানাহার বন্ধ থাকে, তাই তাদের নিয়মগুলো এই মাসে কেমন হবে, তা আগেই ছকে সাজিয়ে নিতে হয়। 

রমজান মাসে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির রোজা রাখার ক্ষেত্রে কী করতে হবে, তা নিয়েই জানাব আজকের আয়োজনে।

  • রোজার আগেই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে নিন। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কখন কখন ওষুধ খাওয়া যাবে, আগেই ঠিক করে নিন। রোজা রাখার আগেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি।
  • ওষুধের ডোজ পরিবর্তন বা সমন্বয় করে নিতে হবে।
  • হাইপোর জন্য বিশেষ প্রস্তুতি রাখতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার অতিরিক্ত কমে গিয়ে জটিল পরিস্থিতি হতে পারে। একে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে। তখন প্রচুর ঘাম হয়, বুক ধড়ফড় করে। এ রকম পরিস্থিতি হলে সঙ্গে সঙ্গে শরবত বা মিষ্টিজাতীয় কিছু মুখে দিতে হবে। স্বাস্থ্য রক্ষায় তখনই রোজা ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
  • ইনসুলিন নিলে বা রক্ত পরীক্ষা করালে রোজা ভেঙে যায় না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ, নিয়ম অনুযায়ী একজন রোজাদার যেমন ইনসুলিন নেবেন, তেমনি শারীরিক কোনো দুর্বলতা অনুভব করলে নিজেই তার ডায়াবেটিস মেপে দেখতে পারবেন।
  • রোজার সময় ইনসুলিন কীভাবে সমন্বয় করতে হবে, সে জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সকাল বা বিকেলের ইনসুলিনের সময় ও মাত্রা বদলে দিতে পারেন।
  • একজন রোজাদার ডায়াবেটিস ব্যক্তি সকালে যে খাবারটি খেতেন, সেটা ইফতারে খাবেন। দুপুর বা রাতে যে খাবারটি খেতেন, তা সাহরিতে খাবেন।
  • ইফতারিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। দই চিড়া, রুটি বা সবজি, ১-২টা খেজুর, ফলমূল খেতে পারেন। সাহরিতে শর্করাজাতীয় স্বাস্থ্যকর ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে পারেন।
  • সাহরিতে রুটি খেতে পারলে ভালো। খাবার খেতে হবে সাহরির সময় শেষ হওয়ার কিছু আগেই।
  • চিনির শরবত বাদ দিয়ে ফলের শরবত বা ডাবের পানি খাবেন।
  • ইফতারির পর থেকে সাহরি পর্যন্ত যতটা বেশি সম্ভব পানি পান করতে হবে।
  • রোজা রাখলে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যায়ামের রুটিনে পরিবর্তন আনতে হবে। সন্ধ্যার পর অথবা সাহরির আগে হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করতে হবে। এতে হাইপো হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।