বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি বেলায় টেবিল চেয়ারে বসে খাওয়ার পরিবর্তে যদি মাটিতে বসে খাওয়া অভ্যাস করেন, তাহলে শরীরের অনেক ধরনের উপকার পাবেন। মাটিতে বসে খেলে আসলে কী কী উপকার পাওয়া যায় তা জানাবো আজকের আয়োজনে।
খাবার দ্রুত হজম হবে
খাবার হজমের সমস্যা দূর করার ভালো উপায় হচ্ছে, মেঝেতে বসে খাওয়া। কেউ যখন মেঝেতে বসে খাবার খান তখন তা মুখে নেওয়ার জন্য মাথা সামনে ঝুঁকিয়ে দেন। খাবার মুখে নেওয়ার পর আবারো পেছনে চলে আসেন। বারবার এমন করলে হজম প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হয়।
মনোযোগ বৃদ্ধি পায়
অদ্ভুত শোনালেও সত্যি যে, মেঝেতে বসে খেলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। এর বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে বলা হয়, খাবারের সময় এক পা অন্য পায়ের ওপর রেখে পদ্মাসন ভঙ্গিতে বসা হলে অ্যাবডোমেনের মাসেলে টান পড়ে। ফলে মানসিক চাপ দূর হয়। কাজেই মনোযোগ বৃদ্ধি যায়।
শরীরের জয়েন্টের ব্যথা কমবে
হাঁটু, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের জয়েন্টের ব্যথা দিন দিন বেড়েই যায়। এই জয়েন্টের ব্যথা সারাতে মেঝেতে বসে খাওয়ার অবদান রয়েছে। মেঝেতে বসলে হাঁটু ভাঁজ করতে হয়, পা নাড়াতে হয়, কোমরের নড়াচড়া বাড়ে। এতে করে জয়েন্টের ব্যয়াম হয়। ফলে ব্যথা সেরে যায়।
শ্বাস-প্রশ্বাসের সুবিধা হবে
মেঝেতে বসে খাবার খেলে মেরুদণ্ডের নিচের অংশে চাপ পড়ে। এতে করে শ্বাস প্রশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রিত থাকে।
রক্ত সঞ্চালণ বৃদ্ধি পাবে
মেঝেতে বসে খেলে রক্ত সঞ্চালণের উন্নতি হয়। এটি স্নায়ুর প্রসারকেও সরিয়ে দেয়। হার্টের চারপাশে চাপও হ্রাস করে। এর ফলে কোমর, পা থেকে মেরুদণ্ড, সবকিছুর উপকার হয়। তাই মেঝেতে বসে খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ওজন কমাতে সহায়ক
মেঝেতে বসে খেলে ওজন কমবে। কারণ এই পদ্ধতি অ্যাবডোমেনের মাসেলের মুভমেন্ট বেশি হয়। যা পেটের মেদ কমাতে কার্যকর। এতে মস্তিষ্কও অনেকটা শিথিল হয়। এভাবে বসে খেলে খুব বেশি খাওয়াও যায় না। ফলে অতিরিক্ত খাওয়াকে নিয়ন্ত্রণে করে। তাই ওজনও বাড়ে না।