সাত মাসের অপেক্ষার পর দেশে পৌঁছালো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা।
শনিবার (৯ অক্টোবর) এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিমানে ভারতের মুম্বাই থেকে দুবাই হয়ে বিকেল পাঁচটা ২৫ মিনিটে সেরাম থেকে কেনা এই কোভিশিল্ড টিকা দেশে পৌঁছে।
বাংলাদেশকে ১০ লাখ ডোজ করোনার টিকা পাঠাতে গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াকে অনুমতি দেয় ভারত সরকার। বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল এবং মিয়ানমারকেও একই পরিমাণ টিকা দেয়া হবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য সেরামের সঙ্গে চুক্তি সই করে বাংলাদেশ সরকার।
চুক্তি অনুযায়ী, তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। সে ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ও ২৩ ফেব্রুয়ারি আসে টিকার দুই চালান। এই দুই চালানে সরকার পায় মোট ৭০ লাখ ডোজ টিকা।
তবে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে ভারতে করোনা তীব্র আকার ধারণ করলে টিকা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল সেরাম।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা সরবরাহের চুক্তির কথা উল্লেখ করে সেরামের পরিচালক (সরকার ও নিয়ন্ত্রক বিষয়ক) প্রকাশ কুমার সিং গত আগস্টে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্দাভিয়ার কাছে টিকা রফতানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মান্দাভিয়া গত ২০ সেপ্টেম্বর এক ঘোষণায় জানিয়েছিলেন যে ভারত ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ কর্মসূচির আওতায় অক্টোবরে উদ্বৃত্ত টিকা রফতানি পুনরায় শুরু করবে।
জাগরণ/এসএসকে