দেশে তৈরি গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের বঙ্গভ্যাক্স করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
প্রাথমিক ফলাফলে এ টিকা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সহ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ১১টি ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে শতভাগ কার্যকর বলে দাবি করেছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।
বঙ্গভ্যাক্স টিকার অ্যানিমেল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন করে বিএমআরসিতে ট্রায়ালের প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের নীতিগত পরীক্ষার জন্য বিএমআরসির কাছে প্রটোকল জমা দেয় গ্লোব বায়োটেক।
বিএমআরসির চাহিদা অনুযায়ী সংশোধিত প্রটোকল জমা পড়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। গত ২২ জুন বিএমআরসি মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্সের পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়, যদিও এর আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির দেহে পরীক্ষা করার শর্ত দেয়া হয়। গত ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি বানরের দেহে পরীক্ষা শুরু করে, যা শেষ হয় গত ২১ অক্টোবর।
কিভাবে কাজ করবে ব্যানকোভিড ভ্যাকসিন?
এ বিষয়ে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাকন নাগ বলেন, ব্যানকোভিড ভ্যাকসিন যখন মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে তখন এর এমআরএনএ নামে মলিকিউলটি দেহের নির্দিষ্ট কিছু কোষে প্রবেশ করবে।
এই মলিকিউলটি কোভিড-১৯ ভাইরাস সার্স-কোভ-২- তার স্পাইক প্রোটিনের সান্নিধ্যে আসবে।এই স্পাইক প্রোটিনটি তখন অ্যান্টিজেন হিসেবে কাজ করবে এবং পরবর্তীতে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।
তিনি বলেন, টিকা দেয়া হলে শরীরে এই অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়া এবং এর মেমোরি সেল ও টি-সেল তৈরি হয়ে যাবে। ফলে ওই ব্যক্তি সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই অ্যান্টিবডি সেটি শনাক্ত করতে পারবে এবং দ্রুত তারা সেটি দেহ থেকে সরিয়ে দেবে। তখন আর এই জীবাণুটি মানুষকে রোগাক্রান্ত করতে পারবে না বলে তিনি জানান।
জাগরণ/এসএসকে