• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২১, ১২:১২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৪, ২০২১, ০৬:২১ পিএম

করোনাভাইরাস

মার্চ নাগাদ মৃত্যু হতে পারে আরও ৭ লাখ‍‍

মার্চ নাগাদ মৃত্যু হতে পারে আরও ৭ লাখ‍‍
ফাইল ফটো

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) কারণে ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু অঞ্চলে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে আরও ৭ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ডব্লিউএইচও-এর হিসাব মতে, ইউরোপ অঞ্চলভুক্ত ৫৩টি দেশে মৃত্যুর সংখ্যা এরই মধ্যে ১৫ লাখ ছাড়িয়েছে। ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে ৪৯টি দেশের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ-তে করোনা আক্রান্ত রোগীর চাপ বেশি থাকতে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

ইউরোপে ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাস সংক্রমণের মুখে অস্ট্রিয়াকে নতুনভাবে লকডাউনে ফিরে যেতে ও অন্যান্য দেশগুলোকেও বিধিনিষেধের নতুন ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও। 

ফ্রান্স, জার্মানি ও গ্রিস সহ বেশ কয়েকটি দেশও তাদের নাগরিকদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার জন্য শীঘ্রই টিকার বুস্টার ডোজের ব্যবস্থা করতে পারে বলে জানা গেছে। 

ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে নতুন বিধিনিষেধ ও লকডাউনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ হতে দেখা গেছে। আংশিক লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে নেদারল্যান্ডের বেশ কয়েকটি শহরে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার খবরও জানা গেছে।  

ডব্লিউএইচও-এর মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইউরোপ অঞ্চলে মৃত্যুর শীর্ষ কারণ এখন কোভিড-১৯।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) সংস্থাটি বলেছে, ‘বর্তমান প্রবণতার উপর ভিত্তি করে, আগামী বছরের বসন্ত নাগাদ মৃত্যুর সংখ্যা হতে পারে ২২ লাখেরও বেশি।

সম্প্রতি ইউরোপে দৈনন্দিন কোভিড জটিলতায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ২০০ তে, যা কয়েকদিন আগের তুলনায় দ্বিগুণ। শুধু রাশিয়াতেই দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা সম্প্রতি ১ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, ইউরোপ অঞ্চলে সংক্রমণের উচ্চ হারের পিছনে একটি বড় হল, এখানে অনেকেই টিকা নেয়নি। সেইসঙ্গে বেশ কিছু দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ তো আছেই।

যারা এখনও টিকা নেননি, তাদেরকে জরুরিভিত্তিতে টিকে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ অঞ্চলের পরিচালক ড. হান্স ক্লুগে।

ইউরোপীয় দেশগুলোর পাশাপাশি, ইসরায়েল সহ সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র, যেমন- তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানকেও ডব্লিউএইচও এই অঞ্চলের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে।

জাগরণ/এসএসকে