করোনাভাইরা (কোভিড-১৯) অতি সংক্রামক ওমিক্রনের আগ্রাসী রূপে যখন গোটা দুনিয়া কাঁপছে, ঠিক তখনই আশারবাণী শোনালেন গবেষক ও বিজ্ঞানীরা।
তারা বলছেন, ওমিক্রণের মরণ এই মহামারীর।
ওমিক্রনের থাবায় দেশে দেশে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এবারের ঢেউ হবে সুনামির মতো। আর একেই শাপে বর মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
তাদের দাবি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে অর্থাৎ করোনা মহামারী বিদায় নিতে চলেছে বিশ্ব থেকে।
তাদের তথ্য-উপাত্ত নাকি সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।
ডেল্টার তুলনায় কমপক্ষে পাঁচ গুণ দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে রোগ লক্ষণ কিন্তু তেমন প্রকট নয়।
সর্দি-জ্বর, গলাব্যথা, কাশি সাধারণ ফ্লু এর মতই উপসর্গ। শ্বাসকষ্ট, অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া এ রকম কোনও সমস্যার কথা এখনও পর্যন্ত শোনা যায় নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজিস্ট মনিকা গান্ধী বলেন, পৃথিবীতে থেকে যাবে করোনা। তবে ওমিক্রন শরীরের যে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করবে তাতেই কমে যাবে মহামারী।
তিনি জানান, যেসব দেশে ওমিক্রনের প্রকোপ বেশি সেখানে কিছু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তবে তাঁদের শরীরে ডেল্টার মতো গুরুতর লক্ষণ নেই। নেই রোগ জটিলতাও।
অন্যান্য ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের ভাইরাল লোড কম- এমন মনে হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। ওমিক্রন সরাসরি ফুসফুসে আঘাত করছে না।
করোনা সংক্রমণ সাধারণত নাক দিয়ে শুরু হয়ে গলা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। কোনওভাবেই তা শ্বাসযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে না। এটি ফুসফুসে গেলেই গুরুতর লক্ষণ দেখা যায়।
ওমিক্রন টিকার সুরক্ষাকে ফাঁকি দিলেও টি-সেলগুলো বেশ ভালো লড়াই করছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বলছেন, টি-সেল ওমিক্রনকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত রুখে দিতে সক্ষম।
মনিকা গান্ধী জানান, ওমিক্রনের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড সর্বোচ্চ পৌঁছাতে পারে। তবে, এই রূপের হালকা লক্ষণগুলি সংক্রমণের শেষের শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান।
ডেনমার্কের স্বাস্থ্য প্রধান টাইরা গ্রুভ ক্রাউস ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের ক্ষমতা কমে শেষ হয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘ওমিক্রন মহামারী শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে আমরা সবাই আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসব’।
জাগরণ/এসএসকে