• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০১৯, ০৪:০২ পিএম

অভিজিৎ হত্যা মামলা

জঙ্গিনেতা জিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

জঙ্গিনেতা জিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
অভিজিৎ রায় -ফাইল ছবি

 

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়াসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। চার্জশিটে ১৫ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

গত বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। আদালত চার্জশিট দেখেছেন। আগামী ২৫ মার্চ (সোমবার) মামলাটির পরবর্তীর শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।

মামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাসহ ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। চার্জশিটভূক্ত অপর আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব), মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস্), শফিউর রহমান ফারাবি ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আবদুল্লাহ।

ছয় আসামির মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন।

যাদের অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান ওরফে গামা, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আ. সবুর ওরফে রাজু সাদ ওরফে সুজন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি, আবুল বাশার, মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তু।

সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, আমিনুল মল্লিক, জুলহাস বিশ্বাস, জাফরান হাসান, আ. সবুর ও মইনুল হাসান শামীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি ও আবুল বাশার মৃত্যুবরণ করায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মুকুল রানা খিলগাঁও এলাকায় বন্ধুকযুদ্ধে মারা যান। সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তুর নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি আবেদন করেন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদকে কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ। ওই ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এইচএম/এসএমএম