• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০১৯, ০৫:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৪, ২০১৯, ০৫:৫৮ পিএম

মালিতে বন্দুকধারীদের হামলায় ১৩৪ গ্রামবাসী নিহত

মালিতে বন্দুকধারীদের হামলায় ১৩৪ গ্রামবাসী নিহত

 

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির দুটি গ্রামে হামলা চালিয়ে বন্দুকধারীরা ফুলানি সম্প্রদায়ের ১৩৪ গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। নিহতরা সবাই পশুপালক বা পশুপালক পরিবারের অন্তর্গত।   

শনিবার ডনজো শিকারীদের ঐতিহ্যগত পোশাক পরা সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলাটি চালায় বলে জানিয়েছেন নিকটবর্তী শহর বানকাসের মেয়র মুলাই গুইন্দো। তিনি জানান, প্রায় ভোর ৪টার (স্থানীয় সময়) দিকে হামলাকারীরা ওগোসাগুও গ্রামের চারদিক ঘেরাও করে হামলা শুরু করে। এরপর তারা নিকটবর্তী আরেক ফুলানি গ্রাম ওয়েলিংগারাতেও হামলা চালায়।

ওগোসাগু থেকে টেলিফোনে গুইন্দো রয়টার্সকে বলেন, “গ্রামপুলিশরা এ পর্যন্ত ১৩৪টি মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছেন।” নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও রয়েছেন।

ওগোসাগুর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা জানান, গত সপ্তাহে চালানো এক হামলায় ২৩ সৈন্য নিহতের দায় শুক্রবার স্বীকার করেছে আল কায়েদার অনুগত একটি গোষ্ঠী, তার জেরেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সেনা হত্যার দায় স্বীকার করে ওই গোষ্ঠীটি বলেছিল, ফুলানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মালির সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়াদের সহিংসতার জবাব ওই হামলা।

স্থানীয় বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর সহিংসতায় মালির কেন্দ্রীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠছে। এই সহিংসতা পশ্চিম আফ্রিকার পুরো সাহেল অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব সহিংসতায় গত বছর কয়েকশ লোক নিহত হয়েছিল। হানাহানির সমাধান খুঁজতে সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি মিশন মালি পরিদর্শন করেছে। তার মধ্যেই সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার এ ঘটনাটি ঘটল।

সম্প্রতি দেশটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাও বেড়ে গেছে। সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বের জেরেই আল-কায়েদা সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং ইসলামি স্টেট (আইএস) মালি এবং পার্শ্ববর্তী দেশ বুর্কিনা ফাসো ও নাইজেরে হামলা চালিয়ে আসছে। ২০১৩ সাল থেকে দেশটিকে এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করছে ফ্রান্সের নিরাপত্তা বাহিনী। বর্তমানে সাহেল অঞ্চলে ফ্রান্সের প্রায় ৪ হাজার ৫০০ সেনা রয়েছে। পাশাপাশি সেখানে মার্কিন সেনাও রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

এসজেড