• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১, ২০১৯, ০৬:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২, ২০১৯, ১২:২২ এএম

‘ঘূর্ণিঝড় ফণী ১ হাজার কিলোমিটার দূরে’

‘ঘূর্ণিঝড় ফণী ১ হাজার কিলোমিটার দূরে’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এখনও বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। সতর্কতামূলক সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বুধবার (১ মে) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিষয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি বৈঠক শেষে এ সব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর গতিবেগ আগে প্রতি ঘন্টায় ছিল ২০ কিলোমিটার। এটি বেড়ে এখন হয়েছে প্রতি ঘন্টায় ২৭ কিলোমিটার।

তিনি বলেন, বর্তমানে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

আগামী ৩ মে বাংলাদেশ থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার এবং ৪ মে ২৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে বলে জানান। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে গভীর সমুদ্রে শক্তিশালী অবস্থায় আছে বলে বৈঠকে জানান আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় ফনী আঘাত হানার সম্ভাব্য ১৯টি জেলায় কর্মরত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে এসব জেলাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে মাইকিং এবং ১৮টি কমিউনিটি রেডিও এর মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। যাতে করে যথাসময়ে তারা সাইক্লোন সেন্টারে অবস্থান নিতে পারেন।

তিনি আরও জানান, এসব জেলার জেলা-প্রশাসকদের কাছে এরইমধ্যে ২শত টন করে চাল, বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং শুকনো খাবারের প্যাকেট পাঠানো হয়েছে।

বৈঠকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, এই শক্তিশালি ফণী যদি গভীর সমুদ্র থেকে সরাসরি মোংলা হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানে তাহলে ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আর যদি এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষা হয়ে আমাদের দেশে আসে তাহলে তা অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে। এর ফলে ক্ষতির শঙ্কা কম থাকবে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর এলাকাগুলোতে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে এটা যদি পরবর্তীতে ৫, ৬ বা ৭ নম্বর সংকেতে উন্নীত হতে পারে। এই বিপদ সংকেত বেড়ে যদি ৮, ৯ বা ১০ এ উন্নীত হয় তাহলে তা হবে ‘মহাবিপদ সংকেত’।

এমএএম/এসএমএম