• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ০৪:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০১৯, ১০:১৯ পিএম

সৌদির দুটি তেল স্টেশনে ড্রোন হামলা

সৌদির দুটি তেল স্টেশনে ড্রোন হামলা

 

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের পার্শ্ববর্তী দুটি তেল পাম্প স্টেশনে হামলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, ইয়েমেন সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরাই এই হামলার জন্য দায়ী। সৌদির জ্বালানী মন্ত্রণালয় জানায়, মঙ্গলবার (১৪ মে) স্থানীয় সময় সকালের দিকে রিয়াদ থেকে ৩২০ কিলোমিটার পশ্চিমের লোহিত সাগর সংলগ্ন তেল সমৃদ্ধ প্রদেশে আচমকা এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ দিন ড্রোন ব্যবহার করে সেই হামলাটি চালানো হয়। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরানের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের চলমান বৈরী সম্পর্কের জন্য এই হামলাটি হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই তেল পাম্পে চালানো হামলার পেছনে ইরান সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে তাদের মদদ থাকতে পারে। কেননা সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সৌদি আরবের ওপর অতিরিক্ত তেল উৎপাদনের জন্য বাড়তি চাপ প্রয়োগ করেন।

এদিকে হোয়াইট হাউস জানায়, ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের যে ঘাটতি সৃষ্টি হবে তা যেন খুব শিগগিরই সৌদি আরব মিটিয়ে ফেলতে পারে; এ জন্যই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নেন।

এবারের হামলার বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, পারস্য উপসাগরে অবস্থিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ উপকূলে সৌদির দুটি তেলবাহী ট্যাংকারসহ মোট চারটি বাণিজ্যিক জাহাজে অন্তর্ঘাতমূলক হামলার পর এই ঘটনাটি ঘটল। অপরদিকে ইয়েমেনি ড্রোনের কারণেই সৌদির এই তেল স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির জ্বালানী বিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ। একইসঙ্গে তিনি ইয়েমেন থেকে সৌদি আরবে পরপর সাতটি ড্রোন পাঠানোর পর এ হামলাটি হলো বলে স্বীকার করেছেন।

সৌদির এই জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, ‘গত মঙ্গলবারের সেই ড্রোন হামলায় ইস্ট-ওয়েস্ট পাইপ লাইনের দুটি পাম্পিং স্টেশন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এই পাইপ লাইনটি ব্যবহার করে আশ-শারকিয়া প্রদেশের তেল খনিগুলো থেকে উত্তোলিত তেল রেড সি উপকূলবর্তী ইয়ানবু বন্দরে পাঠানো হয়। ড্রোন দিয়ে চালানো এই হামলায় পাইপ লাইনের ৮ নম্বর স্টেশনে আগুন ধরে গেছে। যদিও বর্তমানে সেই আগুনকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’

সৌদির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, এবারের হামলায় সৌদির তেল কোম্পানি ‘আরামকো’ ইস্ট-ওয়েস্ট তেল পাইপ লাইনের অনেকখানি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে এখন এর পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। মূলত হামলার প্রকৃত ক্ষতি নিরূপণ এবং পাম্পিং স্টেশন মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছে। এর আগে একইদিন সকালে ইয়েমেনের একটি টেলিভিশন চ্যানেল সৌদি আরবের বেশ কয়েকটি তেল ও অর্থনৈতিক স্থাপনায় অন্তত সাতটি ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালানোর তথ্য প্রকাশ করে।

সূত্র : রয়টার্স

এসজেড