• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০১৯, ০৬:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৭, ২০১৯, ০৬:২২ পিএম

আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা ইস্যুকে উত্থাপন করতে চায় গাম্বিয়া

আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা ইস্যুকে উত্থাপন করতে চায় গাম্বিয়া
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদো তাঙ্গারা -ছবি : জাগরণ

রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস) নিয়ে যেতে গাম্বিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন দেশটির সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদো তাঙ্গারা।

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতকালে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ড. মামাদো তাঙ্গারা বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট মানবিক ইস্যু। তার দেশ এই ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন, বিশেষ করে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী তার দেশের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হস্তান্তর করেন।

তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈদেশিক অফিস প্রটোকল স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সেক্টরে বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা করতে চাই।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ায় বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তার দীর্ঘ সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। বিদেশে অবস্থান করায় তিনি তার ছোট বোন প্রাণে বেচেঁ যান।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ফিরে আসার পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়েছে। এখন আমরা দেশের মানুষের জীবন-মান উন্নত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জিডিপি ৮ দশমিক ১ শতাংশ অর্জন এবং দারিদ্রের হার ২১ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা উল্লেখ করে বলেন, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে গ্রামীণ মানুষের উন্নয়নে।

কর্মসংস্থান ও দেশের অর্থনীতির আরও উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রী ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার চলমান উদ্যোগের প্রসঙ্গও এ সময় টেনে আনেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং প্রধামন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।বাসস

এসএমএম