• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২১, ২০১৯, ১২:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২১, ২০১৯, ১২:৪৭ পিএম

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ইস্যু

আলেকজান্ডার-চেঙ্গিস খাঁর অজেয় ইরান জয়ের চেষ্টায় ট্রাম্প!

আলেকজান্ডার-চেঙ্গিস খাঁর অজেয় ইরান জয়ের চেষ্টায় ট্রাম্প!

মহাবীর আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট বা মঙ্গোলিয়ার দুর্ধর্ষ রাজা চেঙ্গিস খান, ইরান আক্রমনে বিজয় অর্জনে সফল হননি তাদের কেউ। অথচ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের প্রতি দেয়া ট্রাম্পের সামরিক হুমকির জবাবে এমন মন্তব্যই করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।

মঙ্গলবার (২১ মে) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, মার্কিন হুমকি প্রসঙ্গে জাভেদ জারিফ বলেন যে, যুদ্ধ করে ইরানকে পরাজিত করা যাবে না, তাই হুমকি-ধমকি না দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টর উচিত ইরানিদের সম্মান দেখানো।

তিনি বলেন, 'আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, চেঙ্গিস খানসহ আগ্রাসনকারীরা অতীতে যা করতে পারেননি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেটাই করতে চান।'

এর আগে গত রোববার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প মন্তব্য করেন, 'ইরান যদি যুদ্ধ করতে চায়, তাহলে সেটা হবে দেশটির আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি।' মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে পাল্টা টুইট করে এ কথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।

জারিফ আরও বলেন, হাজার বছর ধরে ইরান ঠিকই টিকে আছে কিন্তু দখলদাররা হারিয়ে গেছে। মুখে মুখে শান্তির কথা বললেও সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান—দুই দেশই পরস্পরকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর টুইটারে পাল্টা জবাবের পর সুর পাল্টে শান্তির কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের ওই টুইট বার্তাতেই তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুর শোনা যাচ্ছে, সামরিক সংঘাতে না জড়ানোর আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন আনেকেই।

ট্রাম্প বলেন, 'আমি তেমন মানুষ নই যে যুদ্ধের পক্ষে, কারণ যুদ্ধে অর্থনীতিতে আঘাত হানে, মানুষ মারা যায়, বিশেষ গুরুত্বের সাথে যেটা ভাবা দরকার সেটা হলো মানুষ মারা যায়।'

এদিকে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা ইরনাকে দেয়া সাক্ষাতকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'যুদ্ধ হবে না, আমরা যুদ্ধ চাইও না। কিন্তু কেউ যেন এ ভুলের মধ্যে না থাকে যে; এ অঞ্চলে ইরানকে মোকাবেলা করতে পারবে।'

প্রসঙ্গত, পরমাণু চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনের সরে যাওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়েছে। গেল সপ্তাহে উপসাগরীয় অঞ্চলে তেলের ট্যাংকারে হামলার পর বাগদাদে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে কয়েকজন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এসকে