• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২১, ২০১৯, ০৯:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২১, ২০১৯, ০৯:০২ পিএম

কার্বন নির্গমন হ্রাস না হলে

সমুদ্র গর্ভে চলে যাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল

সমুদ্র গর্ভে চলে যাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল


সারা বিশ্বে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ হ্রাস না করা হলে আগামী ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রস্তরের উচ্চতা ৬২ সেন্টিমিটার থেকে ২৩৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়বে। অর্থাৎ সমুদ্রস্তরের উচ্চতা এই হারে বাড়লে আগামী ৮০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর নিম্নাঞ্চলগুলোর প্রায় ৮০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার পরিমাণ ভূমি সাগরের পানিতে তলিয়ে যাবে। এর ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র উপকূলবর্তী একটি বড় অংশ পানিতে ডুবে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা এই হারে বৃদ্ধি পেলে অস্তিত্ব বিলীন হবে বাংলাদেশ ও নীল নদের বদ্বীপসহ লন্ডন, নিউইয়র্ক এবং সাংহাইয়ের মতো অনেক শহর। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এমন ভীতিকর তথ্য প্রকাশ করেছে ‘প্রসিডিংস অব দি ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস’ নামেরেএকটি জার্নাল।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আগে যেসব গবেষণা করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ২১০০ সাল নাগাদ পৃথিবীর সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বাড়বে এক মিটারের কিছু কম। কিন্তু গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকায় জমে থাকা বরফ গলার হার দ্রুততর হওয়াতে আগের ধারণা নাকচ করে দিয়ে বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণা বলছে, এই হারে বরফ গলতে থাকলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়তে পারে তার প্রায় দ্বিগুণ।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ২০১৩ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, সমুদ্রস্তরের উচ্চতা ৫২ থেকে ৯৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। কিন্তু নতুন গবেষণার জরিপে বলা হয়েছে, এই সংখ্যা দাঁড়াবে ৬২ সেন্টিমিটার থেকে ২৩৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, আগামীতে পৃথিবীর উষ্ণতা এখনকার চাইতে প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হবে। আর এই উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে দ্রুতই গলে যাবে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফ। আর এতে বৃদ্ধি পাবে সমুদ্রের পানির উচ্চতা।

এই ভয়াবহ পরিণতি এড়াতে এখন থেকে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ কমাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়। আর তা না করা হলে কোটি কোটি মানুষকে ছাড়তে হবে নিজস্ব আবাসস্থল এবং পুরো বিশ্বে দেখা দিবে তীব্র খাদ্য সংকট।

সূত্র : বিবিসি

এসজেড