• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২৩, ২০১৯, ০৫:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৩, ২০১৯, ০৫:১৭ পিএম

ভোটযুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে জয়ের পথে যেসব তারকা

ভোটযুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে জয়ের পথে যেসব তারকা
মিমি চক্রবর্তী

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ। এখন গণনার পালা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল থেকেই চলছে অবিরাম ভোট গণনার কাজ। এতে পশ্চিমবঙ্গের তারকা প্রার্থীদের অনেকেই জয়ের পথে। তাদের নিয়ে ইতিমধ্যে চলছে আনন্দ ও উৎসবের ভাগাভাগি। বিশেষ করে জয়ের পথে থাকা তালিকায় নাম এসেছে শতাব্দী রায়, মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান ও দেবের। তারা প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রের হয়ে।

মুনমুন সেন

পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে শুধু পিছিয়ে আছেন একজন তারকা। তিনি মুনমুন সেন। এ বছর আসানসোল থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। বিজেপির হয়ে সেখান থেকে মুনমুনের বিপরীতে লড়ছেন বাবুল সুপ্রিয়। সেখানে মুনমুন ও বাবুলের জনপ্রিয়তা হাড্ডাহাড্ডি। তাই ভোটের লড়াইটাও হওয়ার কথা ছিল হাড্ডাহাড্ডি। কিন্তু ভোট গণনার শুরু থেকে ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে থাকেন মুনমুন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত কয়েকটি দৈনিকের রিপোর্ট অনুযায়ী বাবুল সুপ্রিয় মুনমুন সেনের থেকে এখন পর্যন্ত অনেকটাই এগিয়ে আছেন।

দীপক অধিকারী (দেব)

ঘাটালে আবার ভিন্ন চিত্র। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দীপক অধিকারী (দেব) এবং বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের লড়াইটা দেখার মতো। শুরুতে দুজনের ভোটযুদ্ধ হাড্ডাহাড্ডি হলেও এখন দেব ভারতীর চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে। বলা যায়, দেবকে বিজয়ী ঘোষণা করার অপেক্ষা মাত্র। কারণ দুজনের লড়াইটা এখন আকাশ আর পাতালের মতো।

শতাব্দী রায়

যাদবপুর কেন্দ্রে দুই বাঘা প্রার্থীকে পেছনে ফেলে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছেন মিমি চক্রবর্তী। তার বিপরীতে সিপিএম থেকে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও বিজেপি থেকে অনুপম হাজরা পিছিয়েছেন অনেক দূর। অনেকের ধারণা ছিল এই দুই জাঁদরেল প্রার্থীর বিপরীতে মিমিকে হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না। অথচ বেলা বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে মিমির ভোটসংখ্যা। তিনিও জয়ের দ্বারপ্রান্তে। মিমির সঙ্গে অন্য দুজনের ভোটের ব্যবধান এতটাই যে, ভোট গণনা শেষে মিমিকেই জয়ী ঘোষণা দেয়া হতে পারে।  

নুসরাত জাহান

অন্যদিকে বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে শতাব্দী রায় আর বসিরহাটে নুসরাত জাহান প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের ভাগ্যও জয়ের দিকে এগিয়ে, আর বিজয় সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কারণ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা ভোটযুদ্ধে একরকম পরাজিতই বলা যায়। উল্লেখ করার মতো তাদের পক্ষে কোনো ভোটই পড়েনি। তাই শতাব্দী ও নুসরাত আছেন এখন খোশমেজাজে। জনগণ তাদের বিজয়ী ঘোষণা ও অভিনন্দন জানানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন।


এসজে/টিএফ