• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০১৯, ০৪:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৪, ২০১৯, ০৪:২৫ পিএম

কংগ্রেসের ভরাডুবি

পদত্যাগ করছেন রাজ বাব্বর, সাবেক ৮ মুখ্যমন্ত্রীর হার

পদত্যাগ করছেন রাজ বাব্বর, সাবেক ৮ মুখ্যমন্ত্রীর হার

 

টানা দ্বিতীয়বারের মত লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে ভারতের শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেসের। দলের সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভরাডুবি আটকাতে ব্যর্থ সাবেক বলিউড অভিনেতা রাজ বাব্বর উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। পাশাপাশি কংগ্রেসের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাই নির্বাচনী বৈতরণি পেরতে ব্যর্থ হয়েছেন। যাদের মধ্যে আট জন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন।

উত্তর প্রদেশে দলের বড় হারের ‘দায় নিজের কাঁধে নিয়ে’ শুক্রবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান রাজ বাব্বর। উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৬২ আসনে জিতেছে। মাত্র একটি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। রাজ বাব্বর নিজে ফতেহপুর সিকরি আসনে বিজেপি প্রার্থী রাজকুমার চাহরের কাছে প্রায় পাঁচ লাখ ভোটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছেন। রাজ্যে বিজেপিকে আটকাতে স্থানীয় দুই দল সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং বহুজন সমাজ পার্টি (বিএমপি) নিজেদের বিরোধ ভুলে একজোট হয়। শেষ পর্যন্ত তারা ১৪টি আসন নিজেদের দখলে নিতে পেরেছে।

উত্তর প্রদেশের আমেথি আসনে স্বয়ং রাহুল গান্ধীর হেরে যাওয়া রাজ্যে বিজেপির প্রবল প্রতাপের কথা বলছে। এই রাজ্য থেকেই লোকসভায় সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধি যায়। তাই বলা হয়, উত্তর প্রদেশে জেতা মানে ভারতে জেতা। যা বিজেপি করে দেখিয়েছে।

নির্বাচনে হারা মানা কংগ্রেসের আট সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হলেন :

শিলা দিক্ষিত : হেরে যাওয়া নেতাদের মধ্যে সবার আগে আসে শিলা দিক্ষিতের নাম। দিল্লির তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের এই নেতা এবার দিল্লি নর্থ আসনে বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারির কাছে হেরে গেছেন। দিল্লি বিজেপির সভাপতি মনোজ সাত লাখ ৮৭ হাজার ৭৯৯ (প্রায় ৫৪ শতাংশ) ভোট পেয়েছেন। শিলা পেয়েছেন চার লাখ ২১ হাজার ৬৯৭ (প্রায় ২৯ শতাংশ) ভোট। আম আদমি পার্টির দিলিপ পান্ডে এক লাখ ৯০ হাজার ৮৬৫ ভোট নিয়ে তিন নম্বরে আছেন।

হরিশ রাওয়াত : উত্তরাখণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত নৈনিতাল-উধামসিং নগর আসনে রাজ্য বিজেপির সভাপতি অজয় ভাটের কাছে তিন লাখের বেশি ভোটে হেরে গেছেন। এই আসনে অজয়ের জয় খানিকটা অপ্রত্যাশিতই ছিল। কারণ প্রথমবারের মত ভোটের লড়াইয়ে নেমেই অজয়কে রাজনীতিতে অভিজ্ঞ নেতা হরিশের মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করতে হয়েছে।

ভূপিন্দর সিং হোড়া : হরিয়ানার দুইবারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হোড়া শনিপাত আসনে বিজেপির রমেশ চন্দর কৌশিকের কাছে এক লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৪ ভোটে হেরে গেছেন। হরিয়ানার অভিজ্ঞ এ নেতার হারই রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির কথা বলে দিচ্ছে। এখানে লোকসভার ১০টি আসনের সবকটিতেই জিতেছে বিজেপি।

দিগবিজয় সিং : মালাগাঁও বোমা হামলার অভিযুক্ত প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা দিগবিজয় সিং। ভোপাল আসনে প্রজ্ঞা সাড়ে আট লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন, দিগবিজয় পেয়েছেন পাঁচ লাখ ভোট। নয় বছর কারাভোগ করা প্রজ্ঞা ‍মুক্তি পাওয়ার প্রায় তিন বছর পর বিজেপিতে যোগ দেন। গেরুয়া বস্ত্রধারী এই নারী সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের জন্য খুবই বিতর্কিত।

সুশিল কুমার সিন্দে : সোলাপুর আসনে বিজেপি প্রার্থী জয় সিদ্ধেশ্বর শিভাচার্যের কাছে দেড় লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা সুশিল কুমার সিন্দে।

মুকুল সাংমা : মেঘালয়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা তুরা আসনে ন্যাশনাল পিপুলস পার্টির আগাথা কে সাংমার কাছে হেরে গেছেন। আগাথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমার ছোট বোন।

ভীরাপ্পা মইলি : কর্নাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা ভীরাপ্পা মইলি চিকবল্লাপুর আসেন বিজেপির বি এ বাচে গৌড়ার কাছে এক লাখ ৮২ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন।

অশোক চাভান : মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোকরাও শংকররাও চাভানও হেরে গেছেন। এ আসনে জিতেছেন বিজেপির প্রতাপপ্রাপ্ত পাতিল শিখলিকার। তিনি পেয়েছেন চার লাখি ৮৬ হাজার ৮০৬টি ভোট। অপরদিকে আইএনডি থেকে প্রার্থী হওয়া আশোক পেছেন মাত্র ৯৩৮টি ভোট।

সূত্র : এনডিটিভি

এসজেড