• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৯, ০৫:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৫, ২০১৯, ০৫:১২ পিএম

বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে মমতার জরুরি বৈঠক

বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে মমতার জরুরি বৈঠক

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে ভারত জুড়ে চলছে গেরুয়া জোয়ার। আর সে জোয়ারের ঢেউ গিয়ে এবার আছড়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্গে বিশাল থাবা বসাতে সক্ষম হলো নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপির সাফল্য ছিল ২টি আসনে। বিপরীতে এবার রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসন নিজেদের করে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর তৃণমূলের দখলে আছে ২২ টি আসন। অর্থাৎ নিজেদের ১৬টি আসনই হারিয়েছে মমতার দল।

বাংলার বুকে তৃণমূলের এই বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখতেই শনিবার (২৫ মে) কালীঘাটের নিজ বাসভবনে এক জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। অল ইন্ডিয়া

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এনডিটিভির প্রকাশিত সংবাদ মতে, নির্বাচনের আগেই বিজেপিকে ভারত ছাড়া করার ডাক দিয়েছিলেন মমতা। দলের অনেকেই আশা করেছিলেন বিজেপিকে পরাজিত করে নতুন যে সরকার দিল্লিতে তৈরি হবে তাতে বড় ভূমিকা নেবে তৃণমূল। কিন্তু ফলাফল হয়েছে একেবারে উল্টো। ফলে আগামী দিনে রাজ্যে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখা তৃণমূলের কাছে বেশ শক্ত ব্যাপার বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 

এমতাবস্থায় দলের সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়ক দলীয় প্রার্থী এবং জেলার নেতাদের বৈঠকে ডাকলেন তিনি। সেখানে পরাজয়ের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা হবে। দলের ফল কেন এতটা খারাপ হল তা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবেন মমতা। এমনিতেই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সম্পূর্ণ প্রকাশ হওয়ার আগেই টুইট করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ ব্যাপারে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, "বিজেপির উত্থান আমাদের চমকে দিয়েছে। জনমত যে এভাবে আমাদের বিপক্ষে যাবে তা আমরা বুঝতেই পারিনি। এমতাবস্থায় বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগে নিজেদের সাংগঠনিক ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে নেওয়া প্রয়োজন। আর সে কারণেই নেত্রী বৈঠকে ডেকেছেন"। 

এদিকে কমিশন সূত্রে জানা যায়, বাংলায় প্রদত্ত ভোটের ৪৩. দশমিক ২৮ শতাংশ পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে  ৪০.২৫ শতাংশ। এখান থেকেই রাজনৈতিক মহলের অনুমান বামেদের ভোটের প্রায় পুরোটাই চলে গিয়েছে বিজেপিতে। সেই কারণে স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাংলায় বামেরা মাত্র ৭. ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কোনও আসনেই তারা জিততে পারেনি। 
এসকে