• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০১৯, ০১:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১০, ২০১৯, ০১:১০ পিএম

ব্রেক্সিটের পর

ব্রিটেনকে ‘অসাধারণ’ বাণিজ্য চুক্তির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

ব্রিটেনকে ‘অসাধারণ’ বাণিজ্য চুক্তির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

 

ব্রেক্সিট নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তার মাঝে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যামেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন। পাশাপাশি ব্রিটেনের নানা অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কেও খোলামেলা বক্তব্য রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের রাজনৈতিক কাঠামো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টেরেসা মে পদত্যাগ করতে চলেছেন। শুক্রবার দলের নেতা হিসেবে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে টোরি দলে চলছে নেতৃত্বের লড়াই। বিরোধী লেবার দলের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে ঐকমত্য নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বোঝাপড়ার অভাবে আগামী ৩১শে অক্টোবর ব্রিটেন চুক্তি ছাড়াই ইইউ ত্যাগ করতে পারে, এমন আশঙ্কা বেড়ে চলেছে।

এমনই প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রীয় সফলে এসে ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অভূতপূর্ব হস্তক্ষেপের নজির গড়েছেন। চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পক্ষে জোরালো সমর্থনের পাশাপাশি তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদারদের সম্পর্কে নিজস্ব ধারণা প্রকাশ্যে তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়েছেন, কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি নেতা বরিস জনসনকেই তিনি আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। জনসন-এর নেতৃত্বে ব্রিটেন চুক্তি ছাড়াই ইইউ ত্যাগ করলে অ্যামেরিকার সঙ্গে ‘অসাধারণ’ বা ‘বিস্ময়কর’ বাণিজ্য চুক্তির টোপ দিয়েছেন ট্রাম্প। এমন চুক্তির ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাত্রা দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে যাবে বলে তার ধারণা। ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজ-এর সঙ্গেও আলাদা করে সাক্ষাৎ করেছেন ট্রাম্প।

ইইউ-র সঙ্গে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের প্রবক্তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এমন ‘লোভনীয়’ দ্বিপাক্ষিক চুক্তির সম্ভাবনা তুলে ধরে আসছেন। তাই ট্রাম্প-এর প্রস্তাব কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিদের জন্য সুখবর বয়ে আনছে। তবে জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা ও খাদ্য নিরাপত্তার মতো কিছু ‘স্পর্শকাতর’ ক্ষেত্র উন্মুক্ত করার বিষয়ে ব্রিটেনে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনায় কোনো বিষয়ই উহ্য রাখা যায় না। পরে অবশ্য তিনি স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রশ্নে সুর কিছুটা নরম করেন। তবে বরিস জনসন-ও এমন সার্বিক বাণিজ্য চুক্তির পক্ষে প্রশ্ন তুলেছেন।

এতকাল ব্রিটেনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে এলেও মঙ্গলবার (৬ জুন) থেরেসা মে-র ভূয়সী প্রশংসা করেন ট্রাম্প। ব্রেক্সিট নিয়ে ইইউ-র সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে তার অসাধারণ অবদানের উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তবে মে সম্ভবত কখনোই সেই প্রাপ্য কৃতিত্ব পাবেন না। ট্রাম্প বলেন, থেরেসা মে-র সঙ্গে এতকাল কাজ করে তিনি অত্যন্ত খুশি। মে সম্পর্কে নরম সুরে কথা বললেও ট্রাম্প খোলাখুলি লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন ও লন্ডন শহরের মেয়র সাদিক খান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার লন্ডনে ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ দেখা গেছে। বিরোধী লেবার দলের নেতারাও তাতে যোগ দেন। ট্রাম্প নিজে অবশ্য বিষয়টিকে খাটো করে দেখিয়ে বলেন, বেশিরভাগ মানুষ ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উড়িয়েছেন। সামান্য কিছু মানুষ প্রতিবাদ দেখিয়েছেন মাত্র।

সূত্র : বিবিসি