• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১১, ২০১৯, ০৩:২৪ পিএম

উ. কোরীয় নেতা কিমের ভাই ছিলেন সিআইএ গুপ্তচর: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল

উ. কোরীয় নেতা কিমের ভাই ছিলেন সিআইএ গুপ্তচর: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতা কিম জং উনের সৎ ভাই কিম জং ন্যাম যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)-এর গুপ্তচর ছিলেন। এমনটাই দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা দ্য ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।

মঙ্গলবার (১১ জুন) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রকাশিত এক সংবাদে জানা যায়, ২০১৭ সালে মালশিয়ায় নিহত উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সৎ ভাই কিম জং ন্যাম সম্পর্কে এই বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল। সংস্থাটি (ও.জা.) তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির বরাতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, সিআইএ-এর সঙ্গে ন্যামের সম্পৃক্ততার কথা তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। এছাড়া জনৈক ব্যক্তি সিআইএ-ন্যামা সম্পর্কে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ করেছে বলেও সংস্থাটি (ও.জা.) দাবি করে।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল দাবি করে, উত্তর কোরিয়ার আভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতেন গোয়েন্দা সংস্থাটির একাধিক সাবেক কর্মকর্তা। তবে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করায় পিয়ংইয়ং সম্পর্কে বিশেষ কোন তথ্য তিনি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দিতে পারেননি বলেও প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়।

ওয়াশিংটন পোস্ট প্রতিবেদক ফিফিলডের প্রকাশিতব্য নতুন বই 'দ্য গ্রেট সাক্সেসর'-এ কিম জং ন্যামের এই গুপ্তচরবৃত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। বইটির তথ্য মতে, সিঙ্গাপুর ও মালয়শিয়ায় সিআইএ-এর এসকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন আয়োজন করা হতো।

এদিকে জানা যায়, কিম জং ওনকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট প্রতিবেদক ফিফিলডের প্রকাশিতব্য নতুন বই 'দ্য গ্রেট সাক্সেসর'-এ কিম জং ন্যামের এই গুপ্তচরবৃত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। বইটির তথ্য মতে, সিঙ্গাপুর ও মালয়শিয়ায় সিআইএ-এর এসকল কর্মকর্তাদের সাথে গোপন আয়োজন করা হতো। আর সেখানেই তাদের সঙ্গে তথ্য পাচারের কাজ সারতেন ন্যাম।

বইটির একটি অংশে দাবি করা হয়, ২০১৭ সালে একটি হোটেলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে হোটেলটির অ্যালিভেটরের সামনে কিম জং ন্যামের সঙ্গে একজন এশিয়ান ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে জানা যায় জনৈক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটির একজন এজেন্ট।

এছাড়া ন্যাম নিহত হবার পর তার সঙ্গে থাকা ব্যাগপ্যাক থেকে নগদ যে ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার হয়েছিলো, ধারণা করা হয় সেটি তার গুপ্তচরবৃত্তির জন্য সংস্থাটির কর্তাদের পক্ষ থেকে পাঠানো পারিশ্রমিক। তবে অনেকের মতে ওই টাকা ন্যামের ক্যাসিনো ব্যবসার আয়ও হতে পারে।

কিম জং ন্যাম নিহতের ঘটনায় উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষকে সে সময় সরাসরি দোষারোপ করেছিলো দক্ষিন কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার। কিন্তু সেই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছিলো দেশটি।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মালয়শিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে কিম জং ন্যামের মুখে তরল ভিএক্স নামক এক ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মাখিয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ভিয়েতনামি ও এক ইন্দোনেশীয় নারীকে গ্রেফতার করা হয়।

তবে সম্প্রতি তাদের দুজনকেই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয় বলে মুক্তি দেয়া হয়।

এসকে