• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০১৯, ০৪:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১১, ২০১৯, ০৪:২৭ পিএম

পদযাত্রা করে বিদ্যাসাগরের মূর্তি পুনঃস্থাপিত করলেন মমতা

পদযাত্রা করে বিদ্যাসাগরের মূর্তি পুনঃস্থাপিত করলেন মমতা

হেয়ার স্কুলে স্থাপিত হল পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার (১১ জুন) মূর্তিটির উদ্বোধন করেন। এরপর আরেকটি মূর্তি নিয়ে তিনি রওনা হন বিদ্যাসাগর কলেজের দিকে। সেখানেই মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। এখানেই মূর্তি পুনঃস্থাপন করেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা ভোটের আগে কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রোড শো হয়। সেই রোড শোকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাসাগর কলেজে অবাধে ভাঙচুর চালান হয়। বিদ্যাসাগরের মূর্তিও ভেঙে ফেলা হয়।

এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়। মূর্তি ভাঙার পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান সেটি পুনঃস্থাপিত করা হবে। এরপর হেয়ার স্কুলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি স্থাপিত হল। এরপর আরো চারটি মূর্তি স্থাপিত হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান একটা মূর্তি ভেঙে বিদ্যাসাগরকে সরিয়ে দেওয়া যায় না, বাংলা ফ্যালনা নয়, ছেলের হাতের মোয়া নয়। তাকে বলতে শোনা যায় মূর্তি ভাঙা মানে শুধু মূর্তি ভাঙা নয়। এটা আমাদের কৃষ্টিতে আঘাত করা।    

এর আগে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় বিশেষ কমিটি করে রাজ্য।  নির্বাচনী আচরণ বিধি উঠতেই  এই কমিটি তৈরির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল। পাঁচ সদস্যের কমিটিতে রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা, কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জাভেদ শামিম, বিদ্যাসাগর কলেজের প্রিন্সিপাল গৌতম কুন্ডুসহ ৫ জন।

শেষ দফার নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে কমিশনও। গোটা দেশের চেয়ে আগে বাংলায় প্রচার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়। শেষ দফার ভোট ছিল ১৯ মে রোববার। নিয়ম অনুযায়ী প্রচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার। কিন্তু পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ায় প্রচার প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবার রাতেই শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয় পরবর্তী সময় জানা যায় রাজ্যের দুই পর্যবেক্ষক চেয়ে ছিলেন প্রচার প্রক্রিয়া আরও আগেই শেষ হয়ে যাক। কিন্তু তা হয়নি। কমিশন জানায় প্রচারের মেয়াদ কী হবে তা ঠি ক করা পর্যবেক্ষকদের মধ্যে পড়ে না।

এই মূর্তি নতুন করে বসানো নিয়েও চাপান উতোর শুরু  হয়েছে। উত্তর প্রদেশের একটি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র  মোদী  বলেন ওই জায়গাতেই নতুন মূর্তি গড়ে দেওয়া হবে। পাল্টা  মমতা বলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজেই মূর্তি গড়তে পারে অন্য কারও সাহায্য প্রয়োজন নেই। শুধু তাই নয় মমতাকে বলতে শোনা যায় মোদীর থেকে মূর্তি গড়ার টাকা নেওয়ার আগে গলায় দড়ি দেওয়া ভালো।

সূত্র : এনডিটিভি

এসজেড