• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০১৯, ০১:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১২, ২০১৯, ০৪:১৬ পিএম

প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে উত্তপ্ত হংকং, বিক্ষোভ জোরদার

প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে উত্তপ্ত হংকং, বিক্ষোভ জোরদার

হংকংয়ে প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে চলমান বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়েছে। বিতর্কিত বিলটি আজ (বুধবার, ১২ জুন) পার্লামেন্টে আলোচনার কথা থাকায় মঙ্গলবার (১১ জুন) সারারাত পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে কয়েক লাখ বিক্ষোভকারী এর প্রতিবাদে অবস্থান নেয়। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনের আশপাশের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে ভবনগুলোতে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারীরা।

বুধবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, এদিন ভোররাত থেকেই হংকংয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন বিক্ষোভে যোগ দেয়ার জন্য দলে দলে আসতে শুরু করে। শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও ধর্মঘট শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে ।

সড়কগুলো অবরুদ্ধ থাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ি নিয়ে সরকারি দফতরগুলোতে না আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এদিকে বিলটি বাতিলের দাবিতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের বিক্ষোভের পরও পিছু না হটে হংকং প্রশাসন। যেকোনো মূল্যে আইনটি পাস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।

চীনের প্রস্তাবিত এই প্রত্যর্পণ বিলটি আইনে পরিণত হলে চীন সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে। বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে হংকংয়ের রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন লাখো ছাত্র-জনতা। এক দশকের মধ্যে এটিই হংকংয়ে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ সমাবেশ।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত বিলটি তৈরি করা হয়। হংকংয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাইওয়ানে ছুটি কাটানোর সময় অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গে হংকংয়ের কোনো বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকায় গর্ভবতী বান্ধবীকে খুন করে হংকংয়ে ফিরে আসে ওই ব্যক্তিকে তাইওয়ানে বিচারের জন্য ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না।

প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিলটি পাস হলে এ রকম পরিস্থিতিতে সন্দেহভাজন অপরাধীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে।

হংকংয়ের সাধারণ জনগণ সন্দেহ করছেন, চীন এই আইনের সুবিধা নিয়ে হংকংবাসীর ওপর খবরদারি বাড়াতে পারে। এভাবেই বিষয়টি হংকংয়ে এ মুহূর্তে একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।

রোববার থেকে শুরু হয় প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ। হংকং প্রশাসনের পক্ষে থাকা ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, আইনজীবী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, গণতন্ত্রকামী ও ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠী এ প্রস্তাবিত বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

এসকে