• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০১৯, ০৩:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১২, ২০১৯, ০৪:২৭ পিএম

বিজেপির লালবাজার অভিযান

বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিশের জলকামান, লাঠিচার্জ

বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিশের জলকামান, লাঠিচার্জ

লালবাজার পর্যন্ত যেতে পারল না বিজেপি। তাদের লালবাজার অভিযানকে ‘কড়া’ হাতে প্রতিহত করল পুলিশ। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ- এই তিন কৌশলেই বিজেপির মিছিল ছত্রভঙ্গ করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের রণংদেহী অবতার দেখে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠতে বাধ্য হন দিলীপ ঘোষরা। লালবাজারে না গিয়েই শেষমেশ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা।

সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে ফিরতে হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এখান থেকেই মূলত এদিনের কর্মসূচিতে ইতি টানেন দিলীপ ঘোষরা। ততক্ষণে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামানের দাপটে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

আজকের মতো আন্দোলন স্থগিত বলে জানালেন দিলীপ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘আজকের আন্দোলন শেষ হল। ৫০ জনের বেশি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, পুলিশ জানিয়েছে সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আজকের মতো আন্দোলন শেষ। গোটা ঘটনা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হবে’’, জানালেন দিলীপ ঘোষ।

রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এই অভিযোগ করে কলকাতায় মিছিল শুরু করে বিজেপি। আর সেই মিছিল ঘিরে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে মিছিল আটকায় পুলিশ। ভিড় ফাঁকা করতে লাঠি চালায় পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ জলকামানও ব্যবহার করে। পাল্টা ইট ছোঁড়ে বিজেপি কর্মীরা।

ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। জল কামান দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা পুলিশের। ছোঁড়া হয় কাঁদানো গ্যাস। এ ঘটনায় রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক অসুস্থ বলে খবর। পুলিশি আচরণের প্রতিবাদে রাস্তাতেই বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। রাস্তায় বসে বিক্ষোভে অশং নেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়,এসএস আলুওয়ালিয়া, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। দিলীপের দাবি তাদের ওপরও আক্রমণ এসেছে।

বিজেপি এবং পুলিশের দ্বৈরথে গোটা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ আটকে যায়। বিজেপির দাবি তারা লালবাজার পর্যন্ত যাবেই। পুলিশ ঠিক করেছে কোনও ভাবেই বিজেপিকে এগোতে দেওয়া হবে না। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে লড়তে আসিনি। পুলিশ বাধ্য হয়ে আমাদের উপর অত্যাচার করছে। মান-সম্মান থাকলে এই সরকারের পদত্যাগ করা  উচিত। এখন প্রতিদিন আমাদের কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। রোজ কর্মীর দেহে মালা দিতে হচ্ছে। এটা আমার জীবনের সবথেকে কঠিন সময়।

এদিনের মিছিলের একেবারে গোড়ার দিকে ছিলেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। আর তাই প্রচুর পরিমাণে মহিলা পুলিশও নিয়ে আসা হয়েছিল। সকাল সকালই লালবাজারের গেটে পৌঁছে যান কয়েকজন মহিলা বিজেপি কর্মী। লালবাজারের সামনে রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন মহিলা বিজেপি কর্মীরা। ‘ভারত মাতা কী’, ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে শোনা যায় ওই বিজেপি মহিলা কর্মীদের। পরে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।        

রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রশ্নে আরও একবার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই কে আসানসোলের সাংসদ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছেন। শুধু তাই নয় দলীয় কর্মী এবং পুলিশকে দিয়েও একই কাজ করাচ্ছেন তিনি। ক্ষমতায় থাকার সমস্ত নৈতিক অধিকার হারিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মেয়াদ আরও দু'বছর বাকি। কিন্তু বাবুল মনে করেন ২০২১ পর্যন্ত এই সরকার টিকবে না। অন্য একটি কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য গোটা দেশ তথা বিশ্বের কাছে বাঙালির মাথা লজ্জায় নিচু হয়ে গিয়েছে।’

সূত্র : এনডিটিভি

এসজেড