• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০১৯, ০৪:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৯, ২০১৯, ০৪:৪৭ পিএম

আসছে ফেসবুকের ক্রিপটোকারেন্সি ‘লিব্রা’

আসছে ফেসবুকের ক্রিপটোকারেন্সি ‘লিব্রা’

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (১৮ জুন) ‘লিব্রা’ নামের ক্রিপটোকারেন্সি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। মাস্টারকার্ড, পেপ্যাল, ইবে, ভিসা, স্পটিফাইয়ের মতো বড় বড় ২৮টি  প্রতিষ্ঠানকে এরইমধ্যে এই ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেনের জন্য যুক্ত করা হয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২০ সালের প্রথমদিকে এ মুদ্রা বাজারে চালু করা হবে।

ফেসবুকের লিব্রা মুদ্রা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ‘প্রজেক্ট লিব্রা’ নামে একটি প্রকল্পের অধীনে নিজেদের ভার্চুয়াল মুদ্রা তৈরি করছে ফেসবুক- এমন খবরে প্রকাশিত হয়েছে। লিব্রা আনার পর বিশ্বব্যাপী ব্যাংক পরিষেবায় বিশেষ পরিবর্তন ঘটবে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন।কেননা এই ক্রিপটোকারেন্সি প্রকল্প সফল হলে, বিশ্বের সব আর্থিক লেনদেন ব্লকচেইন প্রযুক্তির আওতায় চলে আসবে।

মূলত ক্রিপটোকারেন্সি ডলার,পাউন্ড, টাকা ইত্যাদির মতো এক ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রা বা বিনিময় মাধ্যম। সাধারণত, ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে লেনদেনের জন্য ক্রিপটোকারেন্সি ব্যবহার করা হয়। আর প্রচলিত এমন মুদ্রা হলো বিটকয়েন, বিটক্যাশ, মোনেরো, লাইটকয়েন ইত্যাদি এবং ব্লকচেইন হলো তথ্য সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ ও উন্মুক্ত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি তথ্য চেইন আকারে সংরক্ষণ করা  হয়।

ফেসবুকের সঙ্গে ক্রিপটোকারেন্সি বিষয়ে বিশ্বের বৃহৎ আর্থিক লেনদেন পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গ্রাহক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা চুক্তি করেছে।সংস্থাগুলো ফেসবুকের ক্রিপটোকারেন্সি তৈরির জন্য এক কোটি ডলার করে বিনিয়োগ করবে। পাশাপাশি ফেসবুক জেনেভাভিত্তিক ‘লিব্রা অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অধীনে এ ব্যবস্থাটি পরিচালনা করবে।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে ভার্চুয়াল মুদ্রা সংরক্ষণ, আদান-প্রদান ও খরচ করার সুবিধা দিতে ‘ক্যালিব্রা’ নামের একটি সাবসিডিয়ারি চালু করেছে।ফেসবুকের কয়েকশ কোটি ব্যবহারকারীর ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মের ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ফেসবুকের ২০০ কোটিরও বেশি মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর কাছে ডিজিটাল মুদ্রা কতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, তা যাচাই করতেই অন্য সংস্থাগুলো যোগ দিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

এদিকে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাস্টারকার্ড ও ভিসার  মতো সংস্থা ফেসবুকের এই পদক্ষেপ থেকে লাভবান হওয়ার আশায় ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। দ্য সান জানিয়েছে, বিটকয়েনের মত যেনো দাম ওঠানাম না করে, ফেসবুক তার মুদ্রার বিষয়ে সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে। এর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ মানি ট্রান্সফার ও পেমেন্ট সিস্টেম যুক্ত করা হবে। এটি ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের জন্য  দারুণ কাজে আসবে।

নতুন এই ক্রিপটোকারেন্সি চালুর ক্ষেত্রে চীনের সামাজিক মাধ্যম উইচ্যাটকে অনুকরণ করছে ফেসবুক। এখানে নতুন এই পেমেন্ট সেবা চালুর মাধ্যমে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার নিজের লাভ বুঝে নিতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ক্রিপটোকারেন্সি ব্যবহার সহজ করতে ফেসবুক প্রচলিত এটিএম বুথের মতো ব্যবস্থা রাখার পরিকল্পনা করছে। ‘লিব্রা’ দিয়ে এসব বুথ থেকে গ্রাহকরা দেশের প্রচলিত সরকারি মুদ্রা নিতে পারবেন।

এসজেড