• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০১৯, ০৯:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৬, ২০১৯, ০৯:০৯ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট

যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সান ফ্রানসিসকো। মঙ্গলবার (২৫ জুন) এক ভোটের মাধ্যমে শহরটির সকল দোকানগুলোতে এই ই-সিগারেট বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অনলাইনেও পণ্যটি বিক্রিতে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা।

দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-সিগারেট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান জুল ল্যাবস। ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের দাবি, ই-সিগারেট বন্ধ হলে ধূমপায়ীরা আবারো সিগারেটের দিকে ঝুঁকবে। যে কারণে শহরটিতে একটি কালোবাজার তৈরি হবে। ই-সিগারেট বন্ধে আইন প্রণয়নে স্বাক্ষরের জন্য সান ফ্রানসিসকোর মেয়র লন্ডন ব্রিডের কাছে এখনো আরও ১০ দিন সময় রয়েছে। যদিও আইনটি স্বাক্ষরের দিন থেকে পরবর্তী সাত মাসের মধ্যে তা সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, আইনটি কার্যকরের ক্ষেত্রে সরকারকে এক বিরাট চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কেননা এখনো শহরটির অনেক লোকই এই ই-সিগারেটের পক্ষে রয়েছেন। দেশটির ধূমপান বিরোধীদের মতে, কোম্পানিগুলো বর্তমানে তরুণদের লক্ষ্য করে এসব পণ্য উৎপাদন করছে। সমালোচকদের দাবি, অল্প বয়সী তরুণ-তরুণীদের সিগারেটের দিকে ঝুঁকতে উৎসাহিত করে এই ই-সিগারেট।

এ দিকে চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত ইলেকট্রনিক সিগারেটকে মূল্যায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এক নির্দেশিকা জারি করে। যদিও এর আগে এই ই-সিগারেট মূল্যায়নে ২০১৮ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, এত অল্প সময়ের মধ্যে এই কাজ সম্ভব নয়। যে কারণে তাদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতির জন্য আরো সময় লাগবে। অপর দিকে শহরের অ্যাটর্নি জেনারেল ডেনিস হেরারা এসব পণ্য নিষিদ্ধে ক্যাম্পেইন করছেন। আন্দোলনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ই-সিগারেট বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। কেননা এর মাধ্যমে আমাদের তরুণ প্রজন্ম ক্রমশ সিগারেট সেবনের দিকে ঝুঁকছে।’

এর আগে ২০১৭ সালে স্যান ফ্রান্সিস্কোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউসিএসএফ) এই ই-সিগারেট নিয়ে একটি গবেষণা করেছিল। যেখানে দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ধূমপানের যে হার ছিল তা ২০১৪ সালে এসে অনেকাংশে বেড়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে দেশটির সাধারণ ধূমপায়ী ও ই-সিগারেটের নেশায় আসক্তের সংখ্যা বেড়েছে বেশ কয়েক গুণ।

ইউসিএসএফ সেন্টার ফর টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডুকেশনের গবেষক লরেন দুতরা তার প্রতিবেদনে জানান, বাজারে ই-সিগারেট আসার পর দেশে ধূমপানের হার কমার কোনো প্রমাণ নেই। অনেক তরুণ ধূমপায়ী যেমন সিগারেট ছেড়ে ই-সিগারেট ধরেছেন, তেমনই অনেকে আবার নতুন করে ই-সিগারেটের নেশায় আসক্ত হয়েছেন; যারা আগে কখনই ধূমপান করতেন না। যে কারণে সামগ্রিকভাবে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সূত্র : সিএনএন

এসজেড