• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০১৯, ০৪:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১, ২০১৯, ০৪:৫৪ পিএম

গণবিক্ষোভে ফের উত্তাল হংকং

গণবিক্ষোভে ফের উত্তাল হংকং

সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে হংকংয়ের রাজপথ। সোমবার (১ জুলাই) চীনের কাছে হংকং হস্তান্তর বার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকেই সড়কে জড়ো হতে শুরু করে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। এক সময় সরকারি দফতরগুলোতে ভাংচুরও চালানো হয়। এমনকি আইনি পরিষদ ভবনেও ধাতব বস্তু দিয়ে চালানো হয় হামলা। গণতন্ত্রপন্থি পরিষদ সদস্যরাও আন্দোলনকারীদের থামাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভবনগুলোর আশপাশে অনেক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কারণে আন্দোলনরত লোকজন কিছুক্ষণ শান্ত থাকলেও পরে আবারও সামনের দিকে এগোতে শুরু করেন।

প্রায় ১৫০ বছর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের অধীনে থাকার পর ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় অঞ্চলটি শক্তিশালী চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঐতিহাসিক এই দিবসটির ২২ বছর পূর্তিতে সোমবার আন্দোলনে সড়ক অবরোধ করেন গণতন্ত্রকামী এসব লোকজন। প্রতি বছরের এই দিনে কর্মকর্তারা এক দিকে সরকারি ভবনগুলোতে উৎসব পালন করেন আর অপর দিকে গণতন্ত্রকামীরা অবস্থান নেন রাজপথে। দীর্ঘদিন যাবত হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল থেকে অঞ্চলটিকে স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দেয় দেশটি। এর আগে গত মাসেও চীনপন্থি এক বিল নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ইউরেশিয়ার দক্ষিণপূর্ব উপকূলের এই দেশ।

মূলত চীন এবং তাইওয়ানে আসামি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত একটি বিলের বিপক্ষে তখন গোটা দেশে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এতে আন্দোলনকারীদের মূল ক্ষোভ দাঁড়ায় চীনের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে। বেইজিংয়ের দুর্বল আইন ব্যবস্থা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ডের কারণে হংকংয়ের সাধারণ মানুষ সেখানে কাউকে ফেরত পাঠাতে চাইছেন না। তাদের মতে, পার্লামেন্টে বিলটি পাস হলে তা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রে চীনা হস্তক্ষেপের সুযোগ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিবে।

এ দিকে হংকং কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ঐতিহাসিক এই দিবসটি পালনের প্রস্তুতি চলছিল। অপর দিকে হাজার হাজার তরুণ কালো মুখোশ পড়ে সড়ক অবরোধের মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করে। পরবর্তীতে তাদের দমনে হেলমেট ও ঢাল নিয়ে সড়কে দেওয়াল হয়ে দাঁড়ায় দাঙ্গা পুলিশ। ছিল ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও। এত কিছুর পরও আন্দোলনকারীরা একটুও দমে যাননি। উপস্থিত আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, ‌‘পুলিশরা আমাদের ওপর মরিচের গুড়া স্প্রে করেছে। তার ঝাঁঝে আমাদের অনেকে কাতরাচ্ছিল। আমরা ভাগ্যবান যে পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করলেও আমরা তাতে আহত হইনি। কেননা আমারা নিজেদের ছাতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছি।’

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

এসজেড