• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০১৯, ০৪:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৫, ২০১৯, ০৪:৪১ পিএম

উইঘু শিশুদের পরিবার থেকে আলাদা করছে চীনা প্রশাসন

উইঘু শিশুদের পরিবার থেকে আলাদা করছে চীনা প্রশাসন

 

চীনে হাজার হাজার প্রাপ্তবয়স্ক উইঘুর মুসমিলদের কথিত নিরাপদ কেন্দ্রে আটকে রাখার অভিযোগের পর নতুন করে মুসলিম শিশুদের তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে আবাসিক শিক্ষা কেন্দ্রে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাস করা উইঘুর মুসলিমরা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত মুসলিম জাতি। উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনা প্রশাসনের নির্যাতনের কারণে বিশ্ব মহলে সমালোচিত হয়ে আসছে বেইজিং। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় উইঘুর মুসলিমদের অবস্থা 'উদ্বেগজনক' বলে উল্ল্যেখ করে। এই বিষয় নিয়ে বিবিসি সাংবাদিকরা কথিত নিরাপদ কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করতে গেলে চীনা প্রশাসনের বাধার মুখে পরে।

জিনজিয়াং প্রদেশের একটি শহরের চার শতাধিক শিশু হারিয়ে গেছে। তাদের বাবা-মাকেও আটকে রাখা হয়েছে। তাদের আটকে রাখা হয়েছে আটককেন্দ্রে অথবা কারাগারে। মুসলিমদের পরিচয় নিশ্চিহ্ন করার পাশাপাশি শিশুদেরও তাদের মূল থেকে সরানোর প্রক্রিয়া ছিল এটা।  

তিব্বতের মতো জিনজিয়াং প্রদেশটি স্বশাসিত হলেও এই প্রদেশে সংবাদ সংস্থার কর্মীদের প্রবেশে রয়েছে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা। তবে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক হারে আটকের শিকার হচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোও জাতিসংঘের কাছে এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। উইঘুর মুসলিমদের গণহারে আটকের অভিযোগ এনেছে তারা। তবে চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

চীনের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের থেকে পাওয়া গেছে আরও ভয়ানক তথ্য। ইস্তানবুলে আশ্রয় নেওয়া ৬০ জন উইঘুর মুসলিমের পৃথক পৃথক সাক্ষাৎকার নেয় বিবিসি। এই সাক্ষাৎকারেই পাওয়া যায় এসব তথ্য। একজন নারী তার সন্তানদের ছবি দেখিয়ে বলেন, আমি জানি না তাদের কে দেখাশোনা করছে। আমার সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগই নেই। আরেকজন মা তার তিন ছেলে ও এক মেয়ের ছবি হাতে নিয়ে কান্না করতে থাকেন। তিনি বলেন, আমি শুনেছি তাদের এতিমখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরেক উইঘুর মুসলিম জানান, চীনে তার স্ত্রীকে ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। তার আট সন্তান এখন চীনা কর্তৃপক্ষের অধীনে। তাদের সম্ভবত শিশু শিক্ষা ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে।

মূলত মুসলিম সংস্কৃতি পাল্টে চীনা সংস্কৃতি অনুযায়ী শিশুদের চিন্তাধারা গঠনের জন্যই এমন পদক্ষেপ নিতে পারে চীনা প্রশাসন।

সূত্র : বিবিসি

এসজেড