• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৬:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৬:২৫ পিএম

ফিলিপাইনে ডেঙ্গুর প্রকোপ, ৪৫৬ জনের মৃত্যু

ফিলিপাইনে ডেঙ্গুর প্রকোপ, ৪৫৬ জনের মৃত্যু

ফিলিপাইনে গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৪৫৬ জনের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। যে কারণে দেশব্যাপী ‘জাতীয় ডেঙ্গু সতর্কতা’ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যের বরাতে জানা গেছে, দেশের মোট চারটি অঞ্চলে এরই মধ্যে ব্যাপক মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে। অঞ্চলগুলো হলো- পশ্চিম ভিসায়াস, মিমারোপ, কেন্দ্রীয় ভিসায়াস এবং উত্তর মিন্দানাও। যেখানে বর্তমানে প্রায় ২ কোটিও লোক বসবাস করছে। যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ। বিশ্লেষকদের মতে, এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮৫ শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই ডেঙ্গু ঝুঁকি মুক্ত দেশের অন্যান্য অঞ্চলের পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করছেন। যার মধ্যে ফিলিপিনো প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের নিজ প্রদেশ দাভায়োও আছে। যদিও কর্মকর্তাদের দাবি, ডেঙ্গু এখনও জাতীয় মহামারীর রুপ নিতে পারেনি। সমস্যাটি এখনো ‌‌‘স্থানীয়’ মহামারী পর্যায়ে রয়েছে; তবে খুব শিগগিরই এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গু একটি মশা বাহিত সংক্রমণ। ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে- অতিরিক্ত মাথা ব্যথা, পেশী এবং জয়েন্টের মধ্যে ব্যথা, জ্বর এবং পুরো শরীরে র‌্যাশ। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের তথ্য জানানো হয়, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গু সংক্রামিত হয়ে ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে আনুমানিক পাঁচ লাখ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। যাদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১২ হাজারের মতো লোকের মৃত্যু হয়।

এ দিকে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর দাবি, ভারত, ফিলিপাইন ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রায়ই দেখা যায়। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া এর প্রভাবে হলুদ জ্বর। চিকুনগুনিয়া এবং জিকা ভাইরাসও বেড়ে যেতে পারে। আর এসবে আক্রান্ত হতে পারে দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও জাপানের মতো বড় দেশ।

ফিলিপিনো স্বাস্থ্য সচিব ফ্রান্সিসো ডুকে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের মতো দেশগুলোর ক্ষেত্রে ডেঙ্গু প্রতি তিন থেকে চার বছর পর পর বেড়ে যায়। এর আগে ২০১৬ সালে দেশব্যাপী এই রোগের তীব্র প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।’ অপর দিকে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, বর্তমানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো- মশার প্রজনন স্থানগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা; তাছাড়া মশা নিরোধক ব্যবহার এবং রোগের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

সূত্র : মালয় টাইমস