গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কুলভূষণ যাদব যে আদতে ‘অপরাধী’ আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের (আইসিজে) রায়ের পরেও সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে রাজি নয় পাকিস্তান। বরং আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত কুলভূষণকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেনি বা ভারতের হাতে তুলে দিতে বলেনি বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
কুলভূষণ যাদব পাকিস্তানের জনগণের প্রতি অপরাধ করেছেন। বৃহস্পতিবার টুইট করে এমনই দাবি ইমরান খানের। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ওই অপরাধের জন্য পাকিস্তান কুলভূষণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আর্ন্তজাতিক ন্যায় আদালত কুলভূষণ প্রসঙ্গে যে রায় দিয়েছে, তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন ইমরান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, আর্ন্তজাতিক ন্যায় আদালত কুলভূষণকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলেনি। তাই পাকিস্তান ওই ভারতীয় নাগরিকের বিষয়ে প্রয়োজন ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার কুলভূষণকে ‘পাক নাগরিকদের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য অপরাধী’ বলে চিহ্নিত করেছেন ইমরান খান। এও বলেছেন, আইন মেনেই চলবে ইসলামাবাদ। ২০১৬ সালে ইরান সীমান্তের বেলুচিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে পাক নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেফতার করে কুলভূষণকে। তারপর ২০১৭ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের সামরিক আদালত কুলভূষণকে মৃত্যদণ্ড দেয়।
বুধবার আর্ন্তজাতিক ন্যায় আদালত কুলভূষণকে দূতাবাস সুরক্ষা দিয়েছে। এতদিন ধরে ওই ভারতীয় নাগরিককে দুতাবাস সুরক্ষা না দেওয়ায় পাকিস্তানের সমালোচনাও করেছে আদালত। কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাটি ফের খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইসলামাবাদকে। তার আগে পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড স্থগিত থাকবে। ন্যায় আদালতে পাকিস্তানের অধিকাংশ যুক্তিই বিপুল ভোটে (১৫-১) খারিজ হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের যে সামরিক আদালত কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, তার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। তবে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত কুলভূষণের মুক্তি ও তাঁকে নিরাপদে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে ভারতের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের মিলিটারি কোর্ট কূলভূষণকে অপরাধী সাব্যস্ত করে যে রায় দিয়েছিল, তা খারিজ করার যে দাবি ভারত তুলেছিল- তাও নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
সূত্র : দ্য ডন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস