• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৯, ০৫:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২২, ২০১৯, ০৫:৪৭ পিএম

বিক্ষোভে উত্তাল হংকং

রাজপথে হামলাকারী মুখোশধারীরা চীনের ‍‍‘ট্রায়াড‍‍’!

রাজপথে হামলাকারী মুখোশধারীরা চীনের ‍‍‘ট্রায়াড‍‍’!

 

চীন প্রস্তাবিত হংকংয়ের প্রত্যর্পন আইনের বিলটি বাতিলের দাবিতে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভটি সংঘাতের রূপ নিয়েছে। দেশটির বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে হংকংয়ের রাজপথ। বিশেষ করে রোববার (২৩ জুলাই) আন্দোলনকারীদের উপর অজ্ঞাত মুখোশধারীদের হামলা এবং সে সময় পুলিশের নিরব ভূমিকাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয় চরম সহিংসতা। পর আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য মতে জানা যায় এই মুখোশধারীদের সম্ভাব্য পরিচয়।

সোমবার (২৩ জুলাই) হংকংয়ের বিরোধী দলের বক্তব্যের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থার অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অজ্ঞাত হামলাকারীরা চীনের কুখ্যাত ট্রায়াড (গ্যাংস্টার) সদস্য। তবে এ ব্যাপারে এখনই সুনিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

প্রকাশিত ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, হংকং রেল স্টেশনে বিক্ষোভকারীদের বহনকারী একটি ট্রেন পৌছানোর পর তাদের ট্রেন থেকে নামতে বাধা প্রদান করে সাদা পোশাকের একদল মুখোশধারী। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের উপর চড়াও হয় তারা। এদের মাঝে কয়েকজন মুখের মাস্ক খুলে নিলে তাদের চেহারা ফুটে ওঠে ভিডিও চিত্রে। পরে তাদের কয়েকজনকে ট্রায়াড সদস্য বলে সনাক্ত করা হয়।

এ প্রসঙ্গে দেশটির বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতারা দাবি করেন, বিক্ষোভকারীদের দমনে অবৈধভাবে বাধা প্রদান করেছে পুলিশ। তাদের উপস্থতিতে ট্রেনে থাকা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায় ক্ষমতাসীনদের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বিরোঢী দলীয় নেতারা এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জনগণের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি উপস্থাপন করেন।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচী অনুসারে এদিন সেন্ট্রাল হংকং অভিমুখে ‘মার্চ টু ডেমোক্রেসি’র পদযাত্রায় অংশ নিতে রাস্তায় নামে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ হংকংবাসী। সেখানেও আন্দোলনকারীরা পুলিশি বাধা অতিক্রমের চেষ্টা করলে একদল অজ্ঞাত মুখোশধারী অতর্কিতে তাদের উপর হামলা চালায়। আর তাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে এই সুবিশাল জন সমুদ্র। পরে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ছুড়ে মারলে, লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। একই সঙ্গে তাদের লক্ষ্য করে কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে আর্মড পুলিশের একটি ইউনিট। কিন্তু আন্দোলনকারীরা পিছু না হটে পুলিশের উপর চড়াও হলে, শুরু হয় সংঘর্ষ।

এদিকে চীন প্রস্তাবিত হংকং প্রত্যর্পন আইনের বিলটির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া হংকংবাসীর এ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনটি এমন সংঘাতময় হয়ে ওঠায় উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র : রয়টার্স

এসকে

আরও পড়ুন