• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৯, ০৭:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২২, ২০১৯, ০৭:০৮ পিএম

‘মুলারের রিপোর্টে ট্রাম্পের অপরাধের প্রমাণ মিলেছে’

‘মুলারের রিপোর্টে ট্রাম্পের অপরাধের প্রমাণ মিলেছে’

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ‘এফবিআই’য়ের সাবেক পরিচালক রবার্ট মুলারের করা তদন্ত প্রতিবেদনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। রোববার (২১ জুলাই) ফক্স টেলিভিশনে ‘ফক্স নিউজ সানডে’ অনুষ্ঠানে এমনটাই মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান জেরল্ড ন্যাডলার।

জেরল্ড ন্যাডলার তার বক্তব্যে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ সম্পৃক্ততা ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জড়িত বলে দাবি করেছেন। যেখানে প্রমাণ হিসেবে তিনি রবার্ট মুলারের করা তদন্ত প্রতিবেদনকে উল্লেখ করেছেন। ন্যাডলার বলেন, ‘আমার বিশ্বাস মুলারের প্রতিবেদনে মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ধরনের অপরাধ সংঘটন ও অসদাচরণের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যে কারণে মার্কিন কংগ্রেসের পরবর্তী শুনানিতে বিষয়গুলো উপস্থাপনের জন্য মুলারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি (রবার্ট মুলার) যেন আগামী বুধবারের (২৪ জুলাই) শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের সামনে বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এতে করে জনগণ দেখার সুযোগ পাবে যে, আমরা ঠিক কোন দিকে যাচ্ছি। প্রশাসনকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। কেননা কোনো প্রেসিডেন্টই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান জেরল্ড ন্যাডলার। 

এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ সংযোগের বিষয়টি দীর্ঘদিন যাবত আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, রুশ কর্তৃপক্ষ তখন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছিল। রাশিয়া সরকার সেক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। যদিও এফবিআই'য়ের এ তথ্যকে শুরু থেকেই ভুল ও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যার প্রেক্ষিতে এফবিআই'য়ের পরিচালকের পদ থেকে জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। মূলত এর পর থেকেই তদন্তটির মোড় নেয় ক্ষোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে।

২০১৭ সালের মে মাসে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পান সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলার। যার প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ২৩ মাসের তদন্ত শেষে চলতি বছরের মার্চে দেশটির আইনমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেন তিনি। পরবর্তীতে গত ১৮ এপ্রিল প্রকাশ করা হয় দুই ভাগে বিভক্ত মোট ৪৫০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি। যার প্রথম অংশে রয়েছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত বিস্তর আলোচনা। আর দ্বিতীয়টিতে আছে তদন্ত ও বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ট্রাম্প ও তার প্রচারণা শিবিরের যাবতীয় প্রচেষ্টা। প্রতিবেদনটিতে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রমাণ মিললেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রচারণা শিবিরের সঙ্গে ক্রেমলিনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

মুলারের অনুসন্ধান অনুযায়ী, মার্কিন নির্বাচনে সাবেক ফাস্টলেডি হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করতে রাশিয়া ব্যাপকভাবে তৎপর ছিল। যদিও এর মাধ্যমে তাদের নির্বাচনি হস্তক্ষেপের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের ষড়যন্ত্র বা সমন্বয় মূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় না। রিপোর্টে মুলারের দাবি, তার তদন্তে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা বা অস্বীকৃতিই এর মূল কারণ। প্রতিবেদনের শেষ দিকে মুলার বলেছেন, ‘ট্রাম্পকে অপরাধী হিসেবে প্রমাণের মতো কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’ যদিও রিপোর্টে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে একেবারে নিরপরাধ বলেও দায়মুক্ত করেননি তিনি। মুলার বলেছেন, ‘ট্রাম্প অপরাধী কিনা তা বলা কঠিন। তবে কংগ্রেস চাইলে এ নিয়ে নতুন করে আবারও তদন্ত করতে পারে।’

সূত্র : রয়টার্স

এসজেড

আরও পড়ুন