• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০১৯, ০১:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৩, ২০১৯, ০১:১০ পিএম

ব্রেক্সিটে মুক্ত বাণিজ্য নীতির প্রসার

ব্রিটেনের নতুন পরিকল্পনায় লাভবান হবে বাংলাদেশ

ব্রিটেনের নতুন পরিকল্পনায় লাভবান হবে বাংলাদেশ

যুক্তরাজ্যের আসন্ন বাণিজ্য পরিকল্পনায় লাভের মুখ দেখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দফতর নিজেদের ব্যবসা প্রসারে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি পাউন্ডের সহায়তা বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি দেশের মতো লাভবান হতে যাচ্ছে বাংলাদেশও। অন্যান্য দেশগুলো হলো- ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কলম্বিয়া ও পেরু। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগ।

বুধবার (২৪ জুলাই) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ব্রিটেনের নতুন এই নীতির উদ্দেশ্য- এসব উন্নয়নশীল দেশগুলোর পেছনে তারা আরও অর্থ ব্যয় করবে। যার মাধ্যমে দেশগুলো যুক্তরাজ্যে বাণিজ্য চুক্তির অভিজ্ঞতা থেকে ব্যবসায়িক বিভিন্ন দিক শিখতে পারবে। একই সঙ্গে তারা নিজেদের কর্ম পরিবেশ উন্নত করণের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারবে।

এই বাণিজ্য পরিকল্পনার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা থেকে উপার্জিত অর্থের দশমিক সাত শতাংশ যুক্তরাজ্য নির্দিষ্ট কিছু দেশের জন্য বরাদ্দ করবে। আর এই বাণিজ্য সম্পর্কিত সম্পূর্ণ প্যাকেজটি তৈরি করবে অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স, যার বরাদ্দ দিবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক দপ্তর।

এসব পরিকল্পনার বিষয়ে ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ড. লিয়াম ফক্স বলেন, '‘আমরা উন্নয়ন ও বাণিজ্যকে আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে চাই। কেননা একমাত্র মুক্ত বাণিজ্যের মাধ্যমেই আমরা বৈশ্বিকভাবে একটি প্রজন্মের প্রায় শত কোটি মানুষকে দারিদ্রের কষাঘাত থেকে মুক্তি করেছি। যা আমাদের অন্যতম সেরা অর্জন। আমরা চাই বিষয়টা আগামীতেও অব্যাহত থাকুক।'

এ দিকে ব্রিটিশ বিরোধী দল লেবার পার্টির বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার দাবি, সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দরিদ্র দেশের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ নিয়ে ধনী বিনিয়োগকারীদের লাভবান করার চেষ্টা করছে। যার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক ছায়া প্রতিমন্ত্রী ড্যান কারডেন বলেন, 'সরকার ভীষণ তোরজোড়ের সঙ্গে ব্রেক্সিট পরবর্তী চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করতে চাইছে। তাদের সহায়তা তহবিলের বাজেট আর যাই হোক; কখনও কেন বৈশ্বিক দারিদ্র মোকাবিলার জন্য ব্যবহৃত হবে না।'

অপর দিকে ব্রিটেনের সরকারি তথ্য মতে, বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রফতানি বাজার হচ্ছে এই ব্রিটেন। ২০১৮ সালে দেশ দুটির মধ্যে প্রায় ৩৬০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ রফতানি করেছে মোট ৩০০ কোটি পাউন্ড সমমূল্যের পণ্য; বিপরীতে আমদানি করেছে প্রায় ৬২ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডের পণ্য।

বাংলাদেশের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের অন্যতম বৃহত্তম উৎস এই দেশটিতে ২০১৮ সালে বিনিয়োগ ছিল প্রায় ৩৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সম্প্রতি ব্রিটেন সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে গেলেই বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়া হবে।

তথ্যসূত্র সহায়ক: GOV.UK
এসকে

আরও পড়ুন