• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৬:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৬:১৯ পিএম

উপসাগরে সব মার্কিন জাহাজের ওপর ‘নজর রাখছে ইরান’

উপসাগরে সব মার্কিন জাহাজের ওপর ‘নজর রাখছে ইরান’
পারস্য উপসাগরে থাকা সব মার্কিন নৌযান।

ইরানের নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল হোসেন খানজাদি বলেছেন, পারস্য উপসাগরে থাকা সব মার্কিন নৌযান ও তাদের প্রতিদিনকার গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছে। হরমুজ প্রণালী ও উপসাগরে তেলবাহী ট্যাংকারের চলাচল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের সঙ্গে তেহরানের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ইরানের ইয়ং জার্নালিস্টস ক্লাবের ওয়েবসাইটে তার এ কথা প্রকাশিত হয়েছে।

খানজাদি বলেছেন, “আমরা শত্রুদের সব জাহাজ নজরে রাখছি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রেরগুলো, তাদের রওনা করার স্থান থেকে এই অঞ্চলে প্রবেশ করার প্রতিটি মুহুর্ত পর্যন্ত। যৌথ বাহিনী ও মার্কিনিদের নৌযানগুলোর প্রতিদিনকার প্রতিমুহুর্তের সব চিত্র এবং সংরক্ষিত তথ্য আমাদের আছে।” ইরানি ড্রোনের সাহায্যেই এ ছবিগুলো নেয়া হচ্ছে, জানিয়েছেন তিনি। গত মাসে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের একটি মনুষ্যবিহীন ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করার পর থেকেই দেশদুটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।

শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান শুক্রবার হরমুজ উপকূল থেকে একটি ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকারও জব্দ করেছে। সপ্তাহদুয়েক আগে জিব্রাল্টারে ব্রিটিশ রাজকীয় মেরিন সেনাদের সহায়তায় একটি ইরানি ট্যাংকার জব্দের প্রতিক্রিয়ায় তেহরান এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের। তেহরান অবশ্য বলছে, ইরানি একটি নৌযানের সঙ্গে দুর্ঘটনায় জড়ানোর কারণেই ব্রিটিশ পতাকাবাহী স্টেনা ইমপেরিওকে আটক করা হয়েছে। খানজাদি বলেছেন, ইরান আগামী বছরের মার্চের আগেই মিত্রদের নিয়ে একটি নৌমহড়া করবে। প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া এ মহড়ায় তেহরানের সঙ্গে আর কোন কোন দেশ থাকবে তা জানাননি তিনি।

সূত্র : রয়টার্স

এসজেড

 

আরও পড়ুন