• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০১৯, ০৫:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৪, ২০১৯, ০৬:৫৯ পিএম

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‍‍ ‘প্রধানমন্ত্রী‍‍’ থেরেসা মে‍‍র বিদায় সম্ভাষণ

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‍‍ ‘প্রধানমন্ত্রী‍‍’  থেরেসা মে‍‍র বিদায় সম্ভাষণ
বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে- ফাইল ফটো

নিজের সেই আইকনিক ব্লু স্যুট গায়ে চড়িয়ে হাউজ অব কমন্সে উপস্থিত হয়েছিলেন 'ব্রেক্সিট' ইস্যুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো থেরেসা মে। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের শেষ কার্যদিবসে অংশ নিয়ে টরি পার্টির সাবেক প্রধান ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিদায়ী নিলেন মে।পার্লামেন্টে উপস্থিত থেকে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মে। এরপরেই সংসদের উদ্দেশ্যে নিজের বিদায়ী বক্তব্য উপস্থাপন করে এবং উপস্থিত আইনপ্রণেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের বিদায়ী ভাষণ উপস্থাপন করেন মে।

বুধবার (২৪ জুলাই) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা দ্য গার্ডিয়ানের বরাতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত এই বৈঠক শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নব নির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও নিজদলীয় নেতা বরিস জনসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্যদিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেন মে। এরপর বিকেলে লন্ডনে অবস্থিত বাকিংহাম প্যালেসে উপস্থিত হয়ে রানির কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

পার্লামেন্টে সর্বশেষ প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইনপ্রণেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদানকালে প্রাণবন্ত ছিলেন থেরেসা মে। এর মাঝে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি আনন্দিত যে, এমন একজন ব্যক্তির হাতে দেশের প্রধানমন্ত্রীত্ব যাচ্ছে যিনি সত্যিকার অর্থেই একজন দেশপ্রেমিক। জনসন আমার দীর্ঘ দিনের সহকর্মী। একজন সফল প্রদাহ্নমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনার সবগুণ তার মাঝে রয়েছে।'

এদিকে টরিপার্টিসহ বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতাদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন এই প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন। এদের মাঝে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নবনির্বাচিত নেতা সুইনসন বলেন, ব্রিটেনে নারীদের ক্ষমতায়নের আদর্শ হিসেবে চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন থেরেসা মে। তিনি নারীদের জন্য একটি অনবদ্য অনুপ্রেরনা।

হাউজে বিদায়ী ভাষণ দিচ্ছেন মে- ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

সর্বশেষ 'মাদার অব দ্য কমন্স' হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ পার্লেমেন্টের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী নারী আইনপ্রনেতা হ্যারিয়েট হারম্যান মে প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, যত বিষয়ে তার (মে) ব্যাপারে যত সমালোচনাই থাক, একথা অকপটে স্বীকার করে নিতে হবে যে, মে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন এবং দেশের জনগণের স্বার্থে আপোষহীনভাবে কাজ করে গেছেন।

হারম্যানের বক্তব্যের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে বিদায় নেন থেরেসা মে। মে বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে না থাকলেও পেছনের বেঞ্চে বসেই দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজে জনসনকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবেন তিনি। একজন টরি এমপি হিসেবে দল ও পার্লামেন্টের বিভিন্ন কাজে স্বক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং পার্লামেন্টের প্রতিটি বিষয়ে নিজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আশ্বাস জানান মে।

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বারংবার তাকে কটুক্তির চেষ্টা করা এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে শুরুর আগেই ব্যর্থ বলে আখ্যা দেয়া বিরোধী আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে মে বলেন, 'চুপ করে বসুন এবং জনসনকে তার কাজ করতে দিন।'

বিদায় থেরেসা মে...দলীয় এমপিদের উচ্ছ্বসিত অভিবাদন- ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

এরপরেই হাউজ অব কমন্সকে বিদায় জানান থেরেসা মে। অশ্রুসিক্ত অবস্থায় পার্লামেন্ট ভবন ত্যাগের সময় টরি পার্টির আইনপ্রণেতারা উঠে দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে তাকে বিদায় জানান। তবে বিরোধীদলীয় আইনপ্রনেতাদের মাঝে দু'একজন ছাড়া অন্যরা এসময় নিরব ভূমিকা পালন করেন।

এসকে