• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৫:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৫:৩৬ পিএম

মহারাষ্ট্রেও কংগ্রেস-এনসিপির ৪ বিধায়ক বিজেপির পথে

মহারাষ্ট্রেও কংগ্রেস-এনসিপির ৪ বিধায়ক বিজেপির পথে

কর্নাটকের পর এবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ধাক্কা খেল কংগ্রেস-জোট। মঙ্গলবার এনসিপির ৩ এবং কংগ্রেসের ১ বিধায়ক স্পিকার হরিভাউ বাগদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এনসিপির বৈভব পিচাদ, সন্দীপ নায়েক, শিবেন্দ্র রাজে এবং কংগ্রেসের কালিদাস কোলম্বকর নামে ওই ৪ বিধায়ক আগামীকাল বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাতেই এনসিপির মুম্বাই ইউনিটের নেতা শচীন আহির দল ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দেন। এনসিপির মহিলা শাখার দলনেত্রী চিত্রা ওয়াঘও দল ছেড়েছেন। তিনিও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। বিজেপি-শিবসেনা জোটের দল ভাঙানোর রাজনীতির বিরোধিতায় সরব হয়েছেন এনসিপির রাজ্যস্তরের নেতা জয়ন্ত পাটিল, এমএনএস নেতা রাজ ঠাকরে, কৃষক নেতা রাজু শেটঠি।

সম্প্রতি বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন দাবি করেন, অন্তত ৫০ জন এনসিপি এবং কংগ্রেস নেতা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। মহাজনের কথায়, “প্রায় ৫০ জন কংগ্রেস এবং এনসিপি বিধায়ক আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তারা বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করেছেন। চিত্রা ওয়াঘের মতো প্রবীণ নেত্রীও তার পুরনো দল এনসিপিতে আর থাকতে চাইছেন না। কংগ্রেস এরমধ্যেই অত্যন্ত দুর্বল, এনসিপি-ও ক্রমশ দুর্বল দলে পরিণত হচ্ছে।”

এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এদিনই বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন। তার দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিজেপি বিরোধী বিধায়কদের কিনতে চাইছে। তার কথায়, “বিজেপি সর্বত্র দল ভাঙানোর খেলা শুরু করেছে। কর্নাটকে সরকার ফেলে দেয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশেও একই রকমের অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের এমন নজির আগে কখনও দেখা যায়নি।”

পাওয়ারের অভিযোগ প্রত্যাশিত ভাবেই উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তার কথায়, “কেন বিধায়কেরা তার দলে থাকতে চাইছেন না, তা বুঝতে শরদ পাওয়ারের আত্মসমীক্ষা করা উচিত। বিজেপি শক্ত জমির উপর দাঁড়িয়ে, আমাদের কারো দল ভাঙানোর প্রয়োজন নেই।”

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এসজেড

আরও পড়ুন