• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০১৯, ০৩:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১, ২০১৯, ০৩:৪৪ পিএম

সামরিক কুচকাওয়াজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৪০

সামরিক কুচকাওয়াজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৪০

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ চলাকালীন ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এক সামরিক কমান্ডারসহ অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দেশটির বন্দর নগরী এডেনে সৌদি সমর্থিত সরকারের সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় হুথিরা।

রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী মাটিতে নয়টি মরদেহ পরে থাকতে দেখতে পেয়েছিল। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত ইয়েমেনী বাহিনী হুথিদের সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছে। নিহতদের মধ্যে একজন কমান্ডারও ছিলেন বলে সরকার সমর্থক সামরিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, 'এডেনের বুড়াইকা জেলার আল জালা সামরিক শিবিরের যে স্ট্যান্ডে অনুষ্ঠান হচ্ছিল তার পেছনেই বিস্ফোরণ ঘটে। কমান্ডারের একটি লাশ নিয়ে একদল সেনা কাঁদছিল।'

হুথিদের অফিসিয়াল চ্যানেল আল মাসিরাহ টিভি বলেছে যে, হুথিরা কুচকাওয়াজে একটি মাঝারি-পরিসরের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি সশস্ত্র ড্রোন নিক্ষেপণ করেছিল, যা এই বিক্ষোভের মধ্যে পরিচালিত প্রদেশগুলির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে বলে বর্ণনা করছে টেলিভিশন চ্যানেলটি।

হুথি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে মাসিরাহ জানায়, 'কুচকাওয়াজটি তায়েজ ও ডালিয়ায় অগ্রিম প্রস্তুতির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল'।

এদিকে এক সুরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এডেনের অন্য এক জেলার একটি পুলিশ স্টেশনে একটি বিস্ফোরকবাহী গাড়ির পৃথক হামলা চালানো হয়। সেই বিস্ফোরণে ৩ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে। তবে, দুটো ঘটনা সম্পর্কিত কিনা তা স্পষ্ট না। গাড়ি হামলাটি ইসলামবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার দ্বারা চালানো হয়েছিল।

২০১৪ সালের শেষদিকে হুথিরা রাজধানী সানায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সরকারের পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করার জন্য ২০১৫ সালে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সুন্নি মুসলিম জোট হস্তক্ষেপে করে। হুথি বিদ্রোহীরা এই আন্দোলনকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিপ্লব বলে ঘোষণা করেছে।

এসকে