• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০১৯, ১১:৪১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৯, ২০১৯, ১১:৪১ এএম

পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু

পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু

শুরু হয়েছে মুসলমানদের আবশ্যকীয় ইবাদত হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৫ লাখ মুসল্লি হজ পালনের লক্ষ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যার পর লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনি দিয়ে মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। মিনায় রাত্রীযাপন করা সুন্নত। রাত্রীযাপন শেষে মুসল্লিরা সারা দিন মিনাতেই অবস্থান করবেন।

মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে শনিবার সূর্যোদয়ের পরপর মিনা থেকে তারা আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা হবেন। আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেয়া হবে। খুতবা শেষে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন হাজিরা। ওই দিনই সূর্যাস্তের পর আরাফাতের ময়দান থেকে মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে গিয়ে তারা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন।

মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে সারারাত অবস্থানের পর শয়তানের স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নেবেন হাজিরা। ঐদিন ফজরের নামাজ শেষে বড় জামারায় পাথর নিক্ষেপ করতে মিনায় যাবেন। পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কুরবানি দেবেন হাজিরা। মূলত ৯ই জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়।

এদিকে, বাংলাদেশি হাজিরা যেন সুন্দরভাবে সব কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে, সেজন্য নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মিনা এবং আরাফাতের ময়দানে হাজিদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, পাথর নিক্ষেপের স্থান থেকে বাংলাদেশি হাজিদের তাঁবু মিনার কাছে হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাবেন তারা।

এবার কোন ধরনের বিড়ম্বনা ছাড়াই বাংলাদেশিরা হজের মূলপর্ব সম্পন্ন করতে পারবেন সবাই এমনটাই প্রত্যাশ্যা করছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-হাব এর সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম। তিনি বলেন, ‘হজ পালন করতে গিয়ে অনেক সময় হাজিরা পথ ভুলে যান। তাই হারানো হাজিদের খুব সহজেই খুঁজে বের করে মক্কাস্থ বাংলাদেশ হজ মিশনে বিশ্রাম নেয়ার ব্যবস্থা করা, এরপর অতি দ্রুত তাদের সংশ্লিষ্ট এজেন্সির তাঁবুতে বা হোটেলে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

হাজিদের সেবা দিতে মিনা প্রান্তরের ২৪ এবং ৬২ নম্বর তাঁবুতে পাঁচ দিন বাংলাদেশ হজ মিশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। মক্কায় অবস্থিত বাংলাদেশ হজ অফিসের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘মিনা এবং আরাফাতে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় হাজিরা বাড়তি সুবিধা পাবেন।’ তাঁবু ব্যবস্থাপনা অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে ভালো বলেও জানান তিনি।

কোনো হাজি অসুস্থ হলে চিকিৎসা সেবা দিতে সৌদি সরকার এবং বাংলাদেশের আলাদা মেডিকেল টিম থাকবে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের হজ ব্যবস্থাপনা ভালো এবং শেষ পর্যন্ত সুন্দরভাবেই এটি শেষ করা সম্ভব বলে মনে করেন হজ পালনে আসা গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

জেডএইচ/টিএফ

আরও পড়ুন