• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০১৯, ০৪:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৪, ২০১৯, ০৪:২১ পিএম

অবমুক্ত জম্মু, অবরুদ্ধ কাশ্মীর

অবমুক্ত জম্মু, অবরুদ্ধ কাশ্মীর

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার সংশ্লিষ্ট সাংবিধানিক বিধান প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এর প্রেক্ষিতে বুধবার (১৪ আগস্ট) জম্মু অঞ্চলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও কাশ্মীরে আরো কিছুদিন কঠোর বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।

বুধবার কাশ্মীর পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এনডিটিভি এক খবরে জানায়, জম্মুতে সরকার কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তবে কাশ্মীরে আরও কিছু সময়ের জন্য অব্যাহত থাকবে এই কঠোর বিধিনিষেধ। সেখানে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও সাবধানতা অবলম্বনেই এমন সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। 

সংস্থাটি আরো জানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণায়ের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো সরিয়ে নেয়ার কথা বলার ঠিক একদিন পরেই জম্মুতে নিষেধাজ্ঞা শিথীল করার এই ঘোষণা দেয়া হয়। গত ৪ আগাস্ট থেকেই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয় জম্মু ও কাশ্মীরকে। কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্ত করা ও রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে যাতে ওই অঞ্চলে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না সৃষ্টি হয় সেই জন্যেই কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।

এর আগে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা আরোপকে ন্যায়সঙ্গত বলে দাবি করে সরকার, জীবনহানি অথবা বিধিনিষেধ, এই দুটোর মধ্যে বিধিনিষেধকেই বেছে নিয়েছিল সরকার। এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।

প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি সহ কাশ্মীর উপত্যকার প্রায় ৪০০ জন রাজনৈতিক নেতা আটক রয়েছেন এখনও। ৫০,০০০-এরও বেশি নিরাপত্তা রক্ষী জম্মু ও কাশ্মীরের রাস্তায় প্রহরারত রয়েছেন এবং ফোন পরিষেবা এবং ইন্টারনেট এখনও বন্ধ রয়েছে।

এসকে

আরও পড়ুন