• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯, ০৬:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯, ০৬:৫০ পিএম

রোহিঙ্গাদের গ্রাম ভেঙে সরকারি স্থাপনা বানাচ্ছে মিয়ানমার

রোহিঙ্গাদের গ্রাম ভেঙে সরকারি স্থাপনা বানাচ্ছে মিয়ানমার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর গ্রামগুলো এরই মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে পুলিশের ব্যারাক, সরকারি ভবন ও বিভিন্ন শরণার্থী সংস্থার শিবির স্থাপন করা হয়েছে। যে কারণে প্রত্যাবাসনের পর তাদের দখলকৃত জমি আদৌ ফিরিয়ে দেওয়া হবে কি না; এবার তা নিয়েই নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম 'বিবিসি নিউজে'র এক বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো হয়, যেসব অঞ্চলে পূর্বে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল; এখন সেখানে সরকারের স্থায়ী অবকাঠামো এবং পুলিশের ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। 

সীমান্ত সংলগ্ন অন্তত চারটি রোহিঙ্গা গ্রামকে সু চি সরকার পুরোপুরি নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে 'বিবিসি নিউজে'র সংবাদ দাতা এরই মধ্যে বিষয়টি জানতে সমর্থ হয়েছেন। যদিও স্থানীয় কর্মকর্তারা এরই মধ্যে গণমাধ্যমটির এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে বিচ্ছিন্ন হামলা হয়। মূলত এর জেরে অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসী দমনের নামে পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামো বদ্ধ সহিংসতা জোরালো অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

রাখাইনের রোহিঙ্গা অধিবাসীদের ভূখণ্ডে নির্মিত সরকারি স্থাপনার স্যাটেলাইট চিত্র। ছবিসূত্র : বিবিসি নিউজ

এ সময় হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাত লাখের মতো বেসামরিক পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এদের মধ্যে অনেকে আবার প্রতিবেশী দেশ ভারতেও আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৪০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে বলে দাবি ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

ব্যাপক নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি হলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় পথ খোলা রেখেই সম্প্রতি এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ।

বিবিসি বাংলা
এসকে