• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০১:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০১:১১ পিএম

জর্ডান উপত্যকায় চোখ ইসরায়েলের, জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

জর্ডান উপত্যকায় চোখ ইসরায়েলের, জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

কোনো রাখঢাক না রেখে এবার বেশ চড়া গলায় ইসরায়েলকে জর্ডান উপতক্য ইস্যুতে হুঁশিয়ার করলো বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর সর্বোচ্চ অভিভাবল জাতিজংঘ।

সম্প্রতি গাজা উপত্যকার পর ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরবর্তী জর্ডান উপত্যকাও দখলের ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আর তার এই মন্তব্যে সেই দখলদারিত্বের যে পরিকল্পনা তার প্রতি রীতিমত হঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাস। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতে তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহুর সেই পরিকল্পনা সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। এ ধরনের আচরণ বিশ্বে অশান্তি সৃষ্ট করবে। জাতিসংহ শান্তি চায়। আর তাই জাতিসংঘ বা বিশ্ব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এটা কখনোই মেনে নেয়া হবে না।’

তাছাড়া সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন ‍দুজারিক বলেছেন, ‘ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ যদি বাস্তবায়ন করা হয়ে তাহলে তারা আন্তর্জাতিক আইনকে ভয়াবহভাবে লঙ্ঘন করবে। যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনে এক বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’

এর আগে গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় এক টেলিভিশন দেয়া ভাষণে ইসরায়েলের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবৈধ দখলদারিত্বের এ ঘোষণা দেন।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েলের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হলে আমার সরকার জর্ডান উপত্যকা দখল করবে। তাছাড়া পশ্চিম তীরবর্তী সকল এলাকায় নতুন করে আরও অনেক ইহুদি বসতি স্থাপন করা হবে। যদিও এর আগে বিষয়টি নিতে আমাদের সবচেয়ে বড় মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শও নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বরাতে গণমাধ্যম ‘দ্য টাইমস অফ ইসরায়েল’ জানায়, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মূলত এর ঠিক সাত দিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের মাধ্যমে জর্ডান উপত্যকা দখলের অঙ্গীকার করেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

এক টেলিভিশন ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি আজ সকল ইসরায়েলিদের উদ্দেশে ঘোষণা করছি, নতুন সরকার গঠনের পর দেশের সার্বভৌমত্ব জর্ডান উপত্যকা এবং উত্তর মৃত সাগর পর্যন্ত প্রয়োগ করব। নির্বাচনে জনগণ তথা আপনাদের রায় পেলেই কেবল তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপটি বাস্তবায়ন করা হবে।’

এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের ৩০ ভাগ অঞ্চল নিয়ে উত্তর মৃত সাগর (ডেড সি) এবং জর্ডান উপত্যকা গঠিত। যা অবৈধভাবে দখলের মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ড আরও বড় করে নিতে চাচ্ছে।'

অপরদিকে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর নতুন এই দখলদারিত্বের অঙ্গীকার ইস্যুতে কথা বলেছেন হোয়াইট হাউসে নিযুক্ত এক মার্কিন কর্মকর্তা। তার মতে, ‘এই মুহূর্তে মার্কিন নীতিতে আর কোনো পরিবর্তন হবে না। আমরা ইসরায়েলের আসন্ন নির্বাচনের পর অঞ্চলটিতে আরও বেশি শান্তির জন্য আমাদের লক্ষ্যগুলো প্রকাশ করব।’

হোয়াইট হাউসের এ কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘তারা আমাদের অন্যতম বন্ধু দেশ; তাই অন্য সব রাষ্ট্রের চেয়ে তাদের সঙ্গে মার্কিনীদের সখ্যতা খানিকটা বেশি। যে কারণে খুব শিগগিরই অঞ্চলটিতে দীর্ঘ-প্রত্যাশিত নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা আনয়নের জন্য সর্বোত্তম পথ নির্ধারণের লক্ষ্যে কাজ করা হবে।’

দ্য ন্যাশনাল

এসকে/টিএফ
 

আরও পড়ুন