আবহাওয়া পরিবর্তন ও বিশ্বের উষ্ণায়ন সমস্যা সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আশঙ্কাজনক বৈশ্বিক সংকট হিসেবে অভিহিত। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে নিকট ভবিষ্যতে তা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে। এমনটাই আশঙ্ক করছে বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর সর্বোচ্চ অভিভাবক, জাতিসংঘ। এছাড়া একই প্রসঙ্গে সহমত পোষণ করেছে জাতিসংঘের প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল বান কি মুন পরিচালিত জিসিএ নামক সংস্থাটি।
...............................................................................
আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীতে খাদ্য উৎপাদনের হার প্রায় ৩০ ভাগ কমে যাবে। পক্ষান্তরে পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা সৃষ্টি করবে বর্তমানের চেয়ে প্রায় ৫০ ভাগ বেশি খাদ্য চাহিদা। খাদ্যের চাহিদা ও যোগান বিধির এই অসম পরিসংখ্যান প্রমান করে, আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে পৃথিবীর বুকে
...............................................................................
সম্প্রতি জাতিসংঘের প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির ফলে আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীতে খাদ্য উৎপাদনের হার প্রায় ৩০ ভাগ কমে যাবে। পক্ষান্তরে পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা সৃষ্টি করবে বর্তমানের চেয়ে প্রায় ৫০ ভাগ বেশি। খাদ্যের চাহিদা ও যোগান বিধির এই অসম পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই সংস্থাটি দাবি করছে, আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই এই তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে পৃথিবীর বুকে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য বিষয়ক সংস্থা ডব্লিউএফও (ওয়ার্ল্ড ফুড অর্গানাইজেশন) পরিচালিত সমীক্ষার বিভিন্ন তথ্য উপতস্থাপন করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
অপরদিকে জাতিসংঘের প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল বান কি মুন পরিচালিত জিসিএ (দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপ্টেশন) এর অনুসন্ধানি প্রতিবেদনের তথ্যও একই বাস্তবতার চিত্র দেখাচ্ছে। যাতে বলা হয়েছে, আগামী দিনে ভয়ঙ্কর খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হতে চলেছে সারা বিশ্ব। যার অন্যতম কারণ বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব।
জিসিএ প্রকাশত এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবী জুড়ে চাষাবাদের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে এমন বহু জমির উর্বরতা নষ্ট হবে বা তুলোনামূলক হারে তার উৎপাদন ক্ষমতা হারাবে, সৃষ্টি হবে নিষ্ফলা, শুষ্ক মরু অঞ্চল। এমন আরো অনেক প্রাসঙ্গিকতাই বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট সৃষ্টি করবে। যা পরবর্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর মাঝে সংঘাত ও বৈষম্য সৃষ্টি করবে।
শুধু তাই নয়, এই পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল সংকটের রুপ ধারণ করবে যা একটি সহিংস পৃথিবীর বুক থেকে অনেক জনগোষ্ঠির জন্য বিলুপ্তির কারণ হিসেবেও দেখা দিতে পারে।
তথ্যসূত্র সহায়ক: দ্য ইন্ডিয়ান টাইমস
এসকে