• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৯:৩২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৯:৩২ এএম

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করলেন এ অধিবেশনের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নাইজেরিয়ার তিজানি মোহাম্মদ বান্দে। এ সময় তিনি জাতিসংঘের প্রথা অনুসারে সংস্থাটির সাধারণ পরিষদ ভবনের ঘণ্টা বাজিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করেন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের দাপ্তরিক বার্তা সংস্থা ইউএন নিউজ প্রকাশিত এক সংবাদের তথ্য মতে, ৭৪তম সাধারণ পরিষদের প্রথম প্রাক-পরিকল্পনাকারী বৈঠকের মধ্যদিয়ে এই অধিবেশনের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রেসিডেন্ট তিজানি বান্দের হাতে এই অধিবেশন পরিচালনার কার্যক্রম সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তুলে দেন জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন- জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতিরেজ ও সাধারণ পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দ।

জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মূল অধিবেশনের প্রথম প্রাক-পরিকল্পনাকারী এই বৈঠকটি শুরু হয়। এ সময় মহাসচিব সাম্প্রতিক বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রেসিডেন্ট তিজানি বান্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পরিস্থিতি। যার মধ্যে মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন, চরমপন্থী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়।

এছাড়া মহাসচিব আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, উন্নত শিক্ষা, ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব, শিশু শিক্ষা, অপুষ্টিহীনতা দূরীকরণসহ আরো বেশ কিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। মহাসচিব বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও জাতিগুলোর মধ্যে বিশ্বাসহীনতা ও বৈষম্য বাড়ছে। যা একটি সংঘাতময় বৈশ্বিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে। এ বিষয়ে সকলের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ পাশাপাশি তিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট তিজানি বান্দের ভূয়সি প্রশংসাও করেন।

নিজের অনাড়ম্বর বক্তব্যের শুরুতেই ৭৪তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট তিজানি মোহাম্মদ বান্দে বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা সংস্থা ও মানবাধিকার সংস্থাসহ মূলসংস্থার অন্যান্য অঙ্গসংস্থানগুলোর সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও ঐক্য প্রচেষ্টায় কাজ করবেন তিনি। তিনি বলেন,‘যে কোনো সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হবার পর প্রতিক্রিয়া দেখানো নয়, আমার মূল লক্ষ্য হবে যেন এসকল সংকট সম্ভাব্য পরিস্থিতিতেই নিরসনের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।’

এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিশু শিক্ষা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরবর্তনের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন বান্দে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বের প্রতিটি দেশকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। বান্দে বলেন, আমাদের মাঝে যে বৈষম্য ও দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে করণীয় বিষয়াদি নির্ধারণ ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে অন্যান্য সময়ের চেয়ে দ্বিগুন প্রাধান্য দেয়া হবে।

বক্তব্যের শেষাংশে বান্দে বলেন ‘আমাদের ঐক্যই আমাদের শক্তি। হয় আমরা আমাদের চাহিদা পূরণে ঐক্যবদ্ধভাবে উৎপাদনমুখী কার্যক্রমে ঝাপিয়ে পড়বো নয়তো সারা পৃথিবীর সকল মানুষ আমরা ঐক্যবদ্ধভাবেই অনাহারে থাকবো।’

সূত্র: ইউএন নিউজ


এসকে/টিএফ
 

আরও পড়ুন