• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০২:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০২:২০ পিএম

পশ্চিমবঙ্গের নাম ‍‍`বাংলা‍‍` করার আশ্বাস মোদীর

পশ্চিমবঙ্গের নাম ‍‍`বাংলা‍‍` করার আশ্বাস মোদীর
বাঁ থেকে- ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে এবার 'বাংলা' করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে রাজধানী নয়া দিল্লিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আশ্বাস দেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় বার্তা সংস্থা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস প্রকাশিত সংবাদের বিত্তিতে জানা যায়, টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নিজের প্রথম সাক্ষাৎ 'ভালো' হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এবার বৈঠকে তারা কাশ্মীর সংকট, আসামের এনআরসিসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বৈঠক শেষে মমতা বলেন, 'রাজ্যের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কিছু করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আমি বলেছি, 'বাংলা' নামকে সামনে রেখে যদি তারা কোনো প্রস্তাব দেন, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।'

মোদীকে বাংলায় আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আগামী দুর্গাপূজার পর মোদীকে পশ্চিমবঙ্গে এসে একটি বৈঠক করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কেননা এখানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা ব্লক পাওয়া গেছে। আমি বলেছি, পূজা শেষ হলে আপনি আসুন, ভালো করে উদ্বোধন করা হবে। তাছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন অর্থনৈতিক উন্নতি নিয়েও আমাদের কথা হয়েছে।'

এর আগে পার্লামেন্টের আসন্ন বাজেট অধিবেশনে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন রাজ্যের তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। যদিও এতে এখন পর্যন্ত কেন্দ্র সরকার থেকে কোনো ধরনের সম্মতি দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন :- ভাষা ইস্যুতে এবার সুর পাল্টালেন অমিত শাহ

যার প্রেক্ষিতে রাজ্যে সিবিআই তদন্তের কারণে কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিকবার সংঘাতে জড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এসব বিষয়ে তিনি বলেন, 'সব ধরনের রাজনৈতিক মতভেদ দূরে রেখে কেন্দ্র ও রাজ্যের উচিত একসঙ্গে কাজ করা। কেননা এটাই আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।'

এসোকে