• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯, ০১:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯, ০১:২৫ পিএম

আমি থাকতে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি নয়: মমতা

আমি থাকতে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি নয়: মমতা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- ফাইল ফটো

সম্প্রতি প্রকাশিত ভারতের আসাম রাজ্যে সংশোধিত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) নিয়ে যথেষ্ট জল ঘোলা হচ্ছে দেশটিতে। গত ৩১ আগস্টের সেই তালিকায় রাষ্ট্রহীন করা হয় প্রায় ১৯ লক্ষাধিক বাঙালিকে। যদিও আসামের পর পর্যায়ক্রমে গোটা ভারতে এনআরসি চালুর বিষয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপির দেওয়া ঘোষণার এবার বিরোধিতা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, 'জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকে (এনআরসি) এখন রাজনৈতিক হাতিয়ার করা হচ্ছে। কোনো অপপ্রচারে কান দেবেন না। আমি থাকতে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে না।' 

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানী নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ফিরে রাজ্যের এনআরসি ইস্যুতে এমন মন্তব্য করলেন তিনি। যদিও এনআরসি না হলেও রাজ্য সরকারের প্রতি ভোটার তালিকায় নাম তুলে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী। 

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধন এবং ডিজিটাল রেশন কার্ড ইস্যুতে এনআরসি চালুর গুজব ছড়িয়েছে। যদিও এ নিয়ে রাজ্যবাসীকে এরই মধ্যে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, 'বর্তমানে কিছু অপপ্রচার চলছে। বাংলায় এনআরসি নিয়ে দিল্লিতে কোনো কথা হয়নি। তারা কেবল রাজনৈতিক কারণেই বাংলায় এনআরসি চালুর ভয় দেখাচ্ছে। যা সম্পূর্ণই উস্কানিমূলক কথা বলছে। এতে জনগণের হৃদয়ে দুঃখ লাগছে।'

রাজ্যে কোনো এনআরসি হবে না উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, 'বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করে এটাই বলতে চাই, এখানে কোনো এনআরসি হবে না। আপনারা আমাকে বিশ্বাস করেন তো! এনআরসি ইস্যুতে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রচার চলছে। যা বিজেপির একটি রাজনীতির হাতিয়ার। তবে এটা বাংলায় প্রশ্নই আসে না; আর হবেও না।'

এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি ইস্যুতে কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন মমতা। তার ভাষায়, 'আসামে এনআরসির জন্য কত লোকের মৃত্যু হয়েছে। আমি সেটি বলতেই তো দিল্লি গেলাম।'

এর আগে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রকাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রহীন করা হয়েছে অন্তত ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ বাঙালিকে। যেখানে আগের তালিকায় বাদ দেওয়া হয়েছিল প্রায় ৪০ লাখ বাসিন্দাকে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই হিন্দু। তাছাড়া এতে স্বীকৃতি মিলেছে প্রায় ৯ কোটি ১১ লাখ লোকের।

আরও পড়ুন