• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯, ০১:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯, ০১:৫৩ পিএম

জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু

যুক্তরাষ্ট্রে মোদীর বিরুদ্ধে মামলা

যুক্তরাষ্ট্রে মোদীর বিরুদ্ধে মামলা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী- ফাইল ফটো

ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় অঞ্চলটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর উপত্যকাটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বর্তমান সংকট সৃষ্টির অভিযোগে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কাশ্মীর বংশোদ্ভূত দুই মার্কিন নাগরিক।

সূত্রের বরাতে গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়া টুডে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন শহরে মোদীর বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ গ্রুপ এবং পাকিস্তানি নাগরিকরা এক বিশাল বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন বলে এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে। যার প্রেক্ষিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নয়া দিল্লি থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

'হিউস্টন ক্রনিকলে'র প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। ৭৩ পৃষ্ঠার সেই মামলায় খলিস্তানি রেফারেন্ডাম ফ্রন্টের দুই সদস্যের অভিযোগ, 'কাশ্মীরে বসবাসরত জনগণের ওপর ব্যাপক অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল কনওয়াল জিত্ সিং ধিলন।'

মূলত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পরপরই এই অত্যাচারটি চালানো হয় বলে অভিযোগ কাশ্মীর বংশোদ্ভূত সেই মার্কিন নাগরিকদের। 'দ্য টরচিউর ভিকটিম প্রটেকশন অ্যাক্ট-১৯৯১' অনুযায়ী হিউস্টনে মামলাটি করা হয়। যেখানে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশিদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিতর্কিত লাদাখ ও জম্মু ও কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়।

এসবের মধ্যেই চলমান কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত মধ্যকার সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে একে একে ভারত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য, যোগাযোগসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। যদিও এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে ভারত পাশে পেয়েছে রাশিয়াকে এবং পাক সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ ইরান।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারসহ রাজ্যের স্থানীয় প্রশাসন সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানানো হলেও; কাশ্মীর জুড়ে এখনো সংঘর্ষ ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি পাকিস্তানের।

এসকে

আরও পড়ুন