• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯, ০৯:২০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯, ০৯:৩০ এএম

ইমরানের ‍‍‘ট্রাম্প‍‍’ কার্ডে মোদীর বাজিমাত!

ইমরানের ‍‍‘ট্রাম্প‍‍’ কার্ডে মোদীর বাজিমাত!
ছবিতে নরেন্দ্র মোদী, ডোনাল ট্রাম্প ও ইমরান খান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে মার্কিন সমর্থন অর্জন এবং জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে তা কঠিন একটি কূটনৈতিক চাল হিসেবে ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান সরকার । কিন্ত দুই দেশের দুই সরকার প্রধানের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বৈঠকের পর, মোদীর কাশ্মীর উন্নয়ন নীতির প্রতিই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্র। ফলে সংঘাত ও সহিংসতার উপত্যকা কাশ্মীরের বুকে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটানোর পরিকল্পনাকারী নরেন্দ্র মোদীই উল্টো বাজি মারতে চলেছেন ইমরানের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক পোস্ট প্রকাশিত এক সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইন্ডিয়ান টাইমস জানায়, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করে, ইমরানের সংঘাত-সম্ভাব্য পরিকল্পিত পন্থার  বিপরীতে মোদীর সংস্কারবাদি মনোভাবকেই ইতিবাচক ও গ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছে মার্কিন বিশিষ্টজনেরা।

এদিকে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত বরেণ্য মার্কিন কলামিস্ট রজার কোহেনের মন্তব্য, 'কাশ্মীর প্রসঙ্গে নেয়া সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হাটবে না মোদী। ভারতের ইতিহাসের ঐ অধ্যায় শেষ। আর মোদী সেটি পারবেন এবং কাশ্মীরিদের জন্য ভাল খবর আসছে। এব্যাপারে আমি বাজি ধরতে পারি।'

এই বিশেষ প্রতিবেদনে কোহেন আরো বলেন, এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের বাধা দেয়র কোনো যৌক্তিক অধিকারই নেই। বরং বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে মেনে নেয়া উচিত তাদের।

কোহেন বলেন, ' এরইমধ্যে কাশ্মীড় ইস্যুতে ভাওতের সমর্থনে দাড়ানোর সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আমি মোদী এবং ইমরান দুজনকেই এ প্রসঙ্গে কথা বলত দেখে। পাক প্রধানমন্ত্রীর আচরন আমার কাছে  আগ্রাসি এবং বর্বর বলেই মনে হয়েছে। পক্ষান্তরে মোদী ছিলেন শান্ত এবং সদয়। আমার ভয় হচ্ছে এই অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে পাকিস্তান হয়তো আবার গণহত্যার পথে পা বাড়াতে পারে। পাকিস্তান কি সত্যিই কাশ্মীরের শান্তি প্রতিইষ্ঠা নিয়ে উদ্বিগ্ন? নাকি শান্তি তা শুরু হওয়া নিয়ে আতঙ্কিত!

কোহেন মনে করেন ইমরান সরকারের এ আচরন অযৌক্তিক। আর মুসলমানদের প্রতি এতটা সাম্প্রদায়িক সহানুভূতি দেখানোর যে বিষয়টি, তা পাকিস্তানের প্রকৃত রূপ নয়। নইলে উইঘুর মুসলিমদের জন্য তারা প্রতিক্রিয়া শূণ্য কেনো? আর বেলুচিস্তানের মুসলমানদের উপর পাক সেনাদের চালনো নির্মম নিপীড়ন আজও কেন চলছে? এমন আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর খোঁজা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো সেখানেই খুজে পাওয়া যাবে কাশ্মীর শান্তির পথ।
   
দ্য গার্ডিয়ান
এসকে