• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০১৯, ০৮:৩৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৭, ২০১৯, ০৮:৪৩ এএম

বাংলাদেশ উপকূলে সার্ভিলেন্স রাডার সিস্টেম বসাবে ভারত

বাংলাদেশ উপকূলে সার্ভিলেন্স রাডার সিস্টেম বসাবে ভারত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী -ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত বঙ্গোপসাগরে আরও গভীর নজরদারি করতে যাচ্ছে ভারত। এজন্য বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ২০টি রাডার সিস্টেম নেটওয়ার্ক স্থাপন করবে দেশটি। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির অধীনে এমন ব্যবস্থা নিয়ে বঙ্গোপসাগর এলাকায় অধিক কড়া দৃষ্টি রাখবে ভারত। নতুন এই নেটওয়ার্কের নাম ‘কোস্টাল সার্ভিলেন্স রাডার সিস্টেম ইন বাংলাদেশ’।

রোববার (৬ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড বলছে, এই নেটওয়ার্ক সমুদ্রপথে যে কোনো সন্ত্রাসী হামলা শনাক্ত করতে ভারতকে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে প্রতিবেশীদের নৌ-সীমানায় দৃষ্টি রাখতে পারবে, যেখানে চীনের লিবারেশন আর্মি নেভি (পিএলএএন) গত কয়েক বছর তাদের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বৈঠকের পরই রাডার সিস্টেমটি স্থাপনের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৫ সালে ভারতের পক্ষ থেকে এ ধরনের সমঝোতা স্বাক্ষরে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনা করে বাংলাদেশ তা আরও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই রকম উপকূলীয় নজরদারি বিষয়ক নেটওয়ার্ক ভারত মহাসাগরীয় অন্য দেশগুলোতেও স্থাপন করছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপ মৌরিতাস, সিসিলি ও শ্রীলঙ্কা।

সেখানে বলা হয়েছে, ভারত যে রাডার সিস্টেম বসানোর কথা বলেছে, তা বাংলাদেশকে এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে নিরাপদ প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি এই নেটওয়ার্ক হবে ভারতীয় নৌ বাহিনীর জন্য সহায়ক।

প্রতিবেদনের তথ্য মতে, সম্প্রতি ভারতীয় নৌবাহিনীর গোয়েন্দা বিমান দেশটির সমুদ্রসীমা সংলগ্ন অঞ্চলে টহলরত চীনা লিবারেশন আর্মির (নেভি) ৭টি যুদ্ধজাহজ শনাক্ত করে। এর আগে, গত বছর ভারত মহাসাগরে চীনা নৌ বাহিনীর টাইপ ০৩৯এ ইউয়ান ক্লাসের একটি সাবমেরিন শনাক্ত করা হয়। আর এই উদ্বেগ কাটাতে সমুদ্রে নজরদারি বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই রাডার সিস্টেম স্থাপন করা হবে।

এসকে/একেএস

আরও পড়ুন