• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০১:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০১:১৯ পিএম

ট্রাম্পের অভিশংসন ইস্যুতে সহযোগিতা করবে না হোয়াইট হাউস

ট্রাম্পের অভিশংসন ইস্যুতে সহযোগিতা করবে না হোয়াইট হাউস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার অভিশংসনের প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সহযোগিতা না করার ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এরই মধ্যে নিজেদের এ সিদ্ধান্তের কথা এক চিঠিতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ কংগ্রেস প্রতিনিধি পরিষদকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর।

হাউজ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিশংসন প্রক্রিয়ায় আর কোনো সহযোগিতা করবে না হোয়াইট হাউস।’ 

এর ফলে এখন থেকে প্রতিনিধি পরিষদের যে তিনটি কমিটি ট্রাম্পের অভিশংসন ইস্যুতে তদন্ত শুরু করেছিল তারা সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনো তথ্য পাবে না। এমনকি সরকারি কোনো কর্মকর্তাও তাদের ডাকে আর সাড়া দেবেন না। দীর্ঘদিন যাবত মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধিরাই এই প্রতিনিধি পরিষদের তিনটি কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, হোয়াইট হাউসের আচমকা এমন পদক্ষেপের ফলে মার্কিন প্রশাসনের প্রধান দুটি শাখার সাংবিধানিক ক্ষমতা নিয়ে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের এই অভিশংসন প্রক্রিয়াটি কোনো মতেই সংবিধান সম্মত নয়। যে কারণে এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে যে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে তার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। যদিও ফোনকলটি পরবর্তীতে ফাঁস করা হয়। যেখানে দেখা যায়, যুদ্ধবাজ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য পদত্যাগী ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ প্রয়োগ করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

পরবর্তীতে সেই ফোনকলের অনুলিপিও গোপন করতে চেয়েছিল হোয়াইট হাউস। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের সেই প্রচেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত সেই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করার পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি জনসম্মুখে আসে। 

যে কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তার পদ থেকে সরাতে এরই মধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছে প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। যদিও ইস্যুটি নিয়ে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের উদ্যোগকে পুরোপুরি ন্যক্কারজনক বলে ইতোমধ্যে আখ্যায়িত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

প্রকাশিত সেই ফোনালাপে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে কোনো প্রকারের সাহায্য চেয়েছেন কিনা? সম্প্রতি গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি এখনো মনে করছি, তারা যদি আদৌ বিষয়টিতে সৎ হয়ে থাকেন তাহলে বাইডেনদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে তদন্ত কাজ শুরু করবেন। যা ভীষণই সহজ একটি উত্তর। তাদের উচিত অবিলম্বে বাইডেনদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা।’

এসকে

আরও পড়ুন