বহু জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রকাশ করা হলো ভারতের আসাম রাজ্যে সংশোধিত নাগরিক তালিকা (এনআরসি)। গত ৩১ আগস্ট প্রকাশিত তালিকায় রাষ্ট্রহীন করা হয়েছে ১৯ লাখের বেশি বাঙালিকে। যদিও আসামের পর এবার গোটা ভারতে এনআরসি কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানী নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই আসামে নাগরিক তালিকা (এনআরসি) করা হয়েছে। এবার আসামের মতো করেই ভারতের বিভিন্ন স্থানে এই এনআরসি কার্যক্রম চালু করা হবে। আমাদের এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তবে কবে নাগাদ এই প্রক্রিয়া শুরু হবে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।’
সারাদেশে লিক প্রুফ এনআরসি আনা হবে উল্লেখ করে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘আসামে এনআরসি চালু করতে গিয়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা দেশব্যাপী পরিচালনার ক্ষেত্রে কাজ করবে। কেননা রাজ্যটিতে এনআরসি চালু করতে গিয়ে আমাদের বেশকিছু সমস্যা হয়েছিল, এবার আর তা হবে না।’
এনআরসি কি একটি রাজনৈতিক অস্ত্র, এতে কি কোনো সুবিধা হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘এনআরসি কখনোই আমরা চালু করিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই তা হয়েছে।’ এনআরসি ভারতের সর্বত্রই চালু হবে কিনা- জানতে চাইলে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘হ্যাঁ, যথা সময়েই তা করা হবে। এবার শুধু আসামেই নয় অবৈধ অভিবাসীদের গোটা ভারত থেকেই বিতাড়িত করা হবে।’
এর আগে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রকাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রহীন করা হয়েছে অন্তত ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ বাঙালিকে। যেখানে আগের তালিকায় বাদ দেওয়া হয়েছিল প্রায় ৪০ লাখ বাসিন্দাকে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই হিন্দু। তাছাড়া এতে স্বীকৃতি মিলেছে প্রায় ৯ কোটি ১১ লাখ লোকের।
যদিও এই তালিকা থেকে বাদ পড়াদের নিয়ে এবার আসাম তো বটেই, গোটা ভারত এমন কি প্রতিবেশী বাংলাদেশ পর্যন্ত মোদী সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে।
এসকে